মোহাম্মদ ওমর

তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক নেতা

মোল্লা মোহাম্মদ ওমর (পশতু: ملا محمد عمر‎) বা মোল্লা ওমর ১৯৬০ – ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ) একজন আফগান মুজাহিদিন কমান্ডার যিনি তালেবানের নেতৃত্ব দেন এবং ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত প্রতিষ্ঠা করেন।

  • সাংবাদিক, দেশ, বন্ধু, শত্রু বা যে কেউ প্রশ্ন করে, "তালেবান আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্য কি?" তাদের সবার উত্তর হল, তালেবানের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হল আল্লাহর এই জমিনে শরীয়াহ আইন বাস্তবায়ন করা। এটাই তালেবানের আসল উদ্দেশ্য এবং শুরু থেকেই তাদের মিশন।
  • আমাদের মহান জিহাদ এর অসমাপ্ত কর্মসূচী বাস্তবায়নে আমি সর্বস্ব ত্যাগ করতে প্রস্তুত।...যতক্ষণ না আফগানিস্তানে রক্তপাত বন্ধ হয় এবং ‘ইসলাম’ আমাদের জনগণের জীবন ব্যবস্থায় পরিণত হয়।
  • আল্লাহর প্রতিশ্রুতি আমার পৃথিবী প্রশস্ত। আপনি যদি আল্লাহর পথে যাত্রা শুরু করেন, আপনি এই পৃথিবীতে যে কোনও জায়গায় বসবাস করতে পারেন এবং সুরক্ষিত হবেন। বুশের এর প্রতিশ্রুতি হল পৃথিবীতে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে আমি লুকিয়ে থাকতে পারব যে সে আমাকে খুঁজে পাব না। আমরা দেখব এই দুটি প্রতিশ্রুতির মধ্যে কোনটি পূরণ হয়।
    • স্পোজমাই মাইওয়ান্দি কে দেয়াসাক্ষাৎকার , ভয়েস অফ আমেরিকা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০১
  • আমেরিকা যে অশুভ সৃষ্টি করেছে তাই একে আক্রমণ করছে। আমি মারা গেলে ওসামা মারা গেলে এবং অন্যরা মারা গেলেও এই অশুভ দূর হবে না। এটি মার্কিন নীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত পিছিয়ে যাওয়া এবং তার নীতি পর্যালোচনা করা। বাকি বিশ্বের ওপর, বিশেষ করে ইসলামিক দেশগুলোর ওপর তার সাম্রাজ্য চাপানোর চেষ্টা বন্ধ করা উচিত।
    • স্পোজমাই মাইওয়ান্ডির সাক্ষাৎকার
  • সকল তালেবানই মধ্যপন্থী। এখানে দুটি জিনিস আছে: চরমপন্থা ["ইফরাত", বা অতিরিক্ত কিছু করা] এবং রক্ষণশীলতা ["তাফরিত", বা অপর্যাপ্ত কিছু করা]. তাই সেই অর্থে আমরা সবাই মধ্যপন্থী - মধ্যম পথ গ্রহণকারী।
  • আমি বামিয়ান বুদ্ধকে ধ্বংস করতে চাইনি। আসলে, কিছু বিদেশী আমার কাছে এসে বলল তারা বৃষ্টির কারণে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত বামিয়ান বুদ্ধের মেরামতের কাজ করতে চায়। এটা আমাকে হতবাক করেছে। আমি ভেবেছিলাম, এই নির্দয় মানুষদের হাজার হাজার জীবিত মানুষের প্রতি কোন গুরুত্ব নেই - আফগানরা যারা ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে, কিন্তু তারা বুদ্ধের মতো নির্জীব বস্তুর জন্য খুব চিন্তিত। এটা ছিল অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই আমি তা ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছি। তারা যদি মানবিক কাজে আসত, তবে আমি কখনই বুদ্ধের ধ্বংসের নির্দেশ দিতাম না।
  • ইসলাম বলে যে যখন একজন মুসলমান আশ্রয় চায়, আশ্রয় দাও এবং তাকে শত্রুর হাতে তুলে দিও না। এবং আমাদের আফগান ঐতিহ্যও বলে যে, এমনকি যদি আপনার শত্রু আশ্রয় চায়, তাকে ক্ষমা করুন এবং তাকে আশ্রয় দিন। ওসামা আফগানিস্তানে জিহাদে সাহায্য করেছে, তিনি খারাপ দিনে আমাদের সাথে ছিলেন এবং আমি তাকে কাউকে দিচ্ছি না।
    • [১], ২০০১ এর সেপ্টেম্বরে সাক্ষাৎকার
  • আল্লাহ চাইলে,ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আফগানিস্তান হবে নরক এবং তাদের সম্পূর্ণ পরাজয় হবে যেমনটি তাদের পূর্বসূরি - সোভিয়েত এবং তাদের আগে, ব্রিটিশদের হয়েছিল।
    • [২], ১৮ মে ২০০২
  • আমরা মনে করি না যে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ হয়েছে ... যুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং এর আগুন জ্বলছে। এই আগুন হোয়াইট হাউসে পৌঁছাবে, কারণ এটি অন্যায় ও অত্যাচারের কেন্দ্র
    • [৩], ১৭ মে ২০০২
  • আলহামদুলিল্লাহ শেখ (বিন লাদেন) এখনও জীবিত এবং এটি বুশকে কষ্ট দেয় যিনি তার লোকেদের কাছে উসামাকে হত্যা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন
    • [৪], ১৭মে ২০০২
  • আমি ফিলিস্তিনে আমার ভাইদের বলছি: ধৈর্য ধরুন এবং আপনাদের সংগ্রাম চালিয়ে যান .... আমরা তোমাকে ভুলিনি। আমরা এখন মুসলিম জাতির আরেকটি ক্ষত নিরাময় করছি, যা হল আমেরিকানদের দ্বারা আমাদের জমি দখল।তোমাদের আর আমাদের যুদ্ধ এক এবং অভিন্ন
    • [৫], ১৭ মে ২০০২

ওমর সম্পর্কে উক্তি

সম্পাদনা
  • মোল্লা-সাহেব যাঁরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁদের অন্তর খালি করার জন্য যথেষ্ট সময় দেন। তিনি শুনেন, তিনি খুব ধৈর্যশীল, তিনি রাগে প্রতিক্রিয়া দেখাননা। যে কোন দর্শনার্থী বলতে পারে যে তিনি যা বলছেন তা নিয়ে তিনি গভীরভাবে চিন্তা করছেন.… দ্বিতীয়ত, আমীরুল মুমিনীন কিছু প্রতিশ্রুতি দিলে তিনি তা পূরণ করেন। তৃতীয়, কারজাই(আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি) লোক দেখাতে পছন্দ করেন এবং ভান করে যে সে অনেক কিছু জানে, কিন্তু আপনি আমির উল-মুমিনীনের সাথে এটি অনুভব করবেন না।
    • আব্দুল সালাম যঈফ, পাকিস্তানে সাবেক আফগান রাষ্ট্রদূত,তালেবানের সাথে আমার জীবন (২০১০)।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা