মৌমাছি
মধু সংগ্রহকারী পতঙ্গ
মৌমাছি হলো মধু সংগ্রহকারী পতঙ্গবিশেষ। মৌমাছিকে মধুমক্ষিকা বা মধুকরও বলা হয়। পৃথিবীতে নয়টি স্বীকৃত গোত্রের অধীনে প্রায় কুড়ি হাজার প্রজাতির মৌমাছি আছে। মধু ও মোম উৎপাদন এবং ফুলের পরাগায়ণের জন্য মৌমাছি বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। মৌচাক হলো মৌমাছির আবাসস্থল। এটি তৈরী হয় মোম জাতীয় পদার্থ দিয়ে। মৌমাছি সমাজবদ্ধ জীব। প্রত্যেকটি মৌচাকে মৌমাছিরা বসতিবদ্ধ হয়ে একটি বড় পরিবার বা সমাজ গড়ে বাস করে৷
উক্তি
সম্পাদনা- ফাল্গুনে বিকশিত
কাঞ্চন ফুল,
ডালে ডালে পুঞ্জিত
আম্রমুকুল।
চঞ্চল মৌমাছি
গুঞ্জরি গায়,
বেণুবনে মর্মরে
দক্ষিণবায়।- ফাল্গুন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, চিত্রবিচিত্র, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৯৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪৩
- গাছ ফুলের মধ্যে মধু সঞ্চয় করিয়া রাখে। মৌমাছি ও প্রজাপতি সেই মধু পান করিয়া যায়। মৌমাছি আসে বলিয়া গাছেরও উপকার হয়। ফুলে তোমরা রেণু দেখিয়া থাকিবে। মৌমাছিরা এক ফুলের রেণু অন্য ফুলে লইয়া যায়। রেণু ভিন্ন বীজ পাকিতে পারে না।
- অব্যক্ত - জগদীশচন্দ্র বসু, তৃতীয় সংস্করণ, প্রকাশক- বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২১ খ্রিস্টাব্দ (১৩২৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩০
- মৌচাকে মৌমাছি
ঝুম্ ঝুম্ নাচছে,
ভোমরার পাখনায়
রুম্ ঝুম্ বাজছে।- ভোরাই, সুনির্মল বসু, সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা, প্রকাশক- মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪০
- মৌমাছি, মৌমাছি
কোথা যাও নাচি নাচি
দাঁড়াও না একবার ভাই।
ওই ফুল ফোটে বনে
যাই মধু আহরণে
দাঁড়াবার সময় তো নাই। - কাজের লোক, নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় মৌমাছি সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে মৌমাছি শব্দটি খুঁজুন।
উইকিমিডিয়া কমন্সে মৌমাছি সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।