রমেশ শীল
একুশে পদক প্রাপ্ত ব্যক্তি
রমেশ শীল বা কবিয়াল রমেশ শীল বা রমেশ মাইজভান্ডারী (বাং ২৬শে বৈশাখ ১২৮৪ চট্টগ্রাম জেলা - ২৩শে চৈত্র ১৩৭৩, ইং ১৮৭৭ - এপ্রিল ৬, ১৯৬৭) বাংলা কবিগানের অন্যতম রূপকার। কবিগানের লোকায়ত ঐতিহ্যের সাথে আধুনিক সমাজ সচেতনতার সার্থক মেলবন্ধন ঘটিয়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি ছিলেন মাইজভান্ডারী [১] গানের কিংবদন্তি সাধক। জনপ্রিয় এই গণসঙ্গীত শিল্পী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনে এবং সেই সাথে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন পরবর্তী নুরুল আমিন বিরোধী আন্দোলনে তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে অংশ নেন।
উক্তি
সম্পাদনা- দেশ জ্বলে যায় দুর্ভিক্ষের আগুনে
এখনো লোকে জাগিল না কেনে?
- আমিই বালক, চালক,পালক, আমার আর কেহ নাই। মায়ের অলংকার সম্বল আমারা বিক্রি করে খাই।
- ৮ নভেম্বর ২০২১ এ প্রথম আলোতে প্রকশিত ওমর কায়সারের কলাম। উদ্ধৃত : কবিয়াল রমেশ শীল জেগে আছেন বাংলা মাটিতে
- ইস্কুল খুইলাছে রে মওলা, ইস্কুল খুইলাছে
- গাউছুল আজম বাবা নূরে আলম,
তুমি ইছমে আজম বাবা
জগতে তরানে ওয়ালা।
- এপ্রিল ১৩, ২০২৩ এ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এ সংকলিত। উদ্ধৃত : লোকচৈতন্য জাগরণের নায়ক কবিয়াল রমেশ শীল
- তথায় উপস্থিত হওয়া মাত্র প্রাণ যেন কি একটা অনির্বচনীয় আনন্দ হিল্লোলে খেলিতে লাগিল এবং কে যেন কানে কানে বলিল,” রমেশ এই মাইজভান্ডারের ভক্তদের তোর গান শুনাইতে হইবে।প্রাণ কাঁপিয়া উঠিল,শরীর আড়ষ্ট ঽইল,সেইখানে গান তৈরি করলাম।
- (ভূমিকাংশ-আশেকমালা), উদ্ধৃত :রমেশ শীলের মরমী গান
তাঁর সর্ম্পকে উক্তি
সম্পাদনা- আবহমান বাংলার লোকসংগীতে র ধারার সাথে মাইজভান্ডারি গানকে মর্যাদাপূর্ণভাবে সুসমন্বিত করার এক অবিস্মরণীয় দায়িত্ব পালন করেছেন ‘মাইজভান্ডারি গানের সাংস্কৃতিক দূত’ কবিয়াল রমেশ শীল’ ।
- ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ এ দৈনিক আজীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ড. সেলিম জাহাংগীরের মন্তব্য। উদ্ধৃত :রমেশ শীলের মরমী গান
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিমিডিয়া কমন্সে রমেশ শীল সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
উইকিপিডিয়ায় রমেশ শীল সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।