রামমোহন রায়

ভারতীয় ধর্মীয়, সামাজিক এবং শিক্ষা সংস্কারক

রামমোহন রায় (২২ মে ১৭৭২ – ২৭ সেপ্টেম্বর ১৮৩৩) ছিলেন বাংলার নবজাগরণের আদি পুরুষ। যিনি সচরাচর রাজা রামমোহন রায় বলে পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন বাঙালি দার্শনিক। তৎকালীন রাজনীতি, জনপ্রশাসন, ধর্ম এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছিল। ১৮২৮ সালে ২০ আগস্ট ইংল্যান্ড যাত্রার আগে তিনি কলকাতায় দ্বারকানাথ ঠাকুরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করেন। সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টার জন্য তাকে সবচেয়ে বেশি স্মরণ করা হয়।

রাজা রামমোহন রায়
  • বিদ্যা শিক্ষা এবং জ্ঞান শিক্ষা দিলে পরে ব্যক্তি যদি অনুভব ও গ্রহণ করিতে না পারে তখন তাহাকে অল্পবুদ্ধি কহা সম্ভব হয়; আপনারা বিদ্যা শিক্ষা জ্ঞানোপদেশ স্ত্রীলোককে প্রায় দেন নাই, তবে তাহারা বুদ্ধিহীন হয় ইহা কিরূপে নিশ্চয় করেন? বরঞ্চ লীলাবতী, ভানুমতী, কর্ণাট-রাজার পত্নী, কালিদাসের পত্নী প্রভৃতি যাহাকে যাহাকে বিদ্যাভাস করাইয়াছিলেন, তাহারা সর্ব্ব শাস্ত্রের পারগ রূপে বিখ্যাত হইয়াছে।
    • সহমরণ বিষয় প্রবর্ত্তক ও নিবর্ত্তকের সম্বাদ- রামমোহন রায়, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দ (১২২৫ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪৫
  • প্রতিটি ঘটনার কার্যকারণ সম্বন্ধে অনুসন্ধান করবার ক্ষমতার অভাবের ফলে কুসংস্কারের জন্ম।
    • রাজা রামমোহন রায়

রামমোহন রায়কে নিয়ে উক্তি

সম্পাদনা
  • প্রকৃত পক্ষে রাজা রামমোহন রায় এ দেশীয় দ্বারা লিখিত বাঙ্গালা সংবাদপত্রের পথ প্রদর্শক। তিনিই ১৮২১ সালে “সংবাদ কৌমুদী” নামে সাপ্তাহিক পত্র প্রকাশ করেন। ঐ “কৌমুদীতে জ্ঞাতব্য বিষয় অনেক খাতি। ইহা লোকশিক্ষার একটী প্রধান উপায় স্বরূপ ছিল।
  • এ কথা কেউ বলতে পারবে না যে, রামমোহন পাশ্চাত্য বিদ্যাদ্বারা বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন। প্রাচীন সংস্কৃত শাস্ত্রজ্ঞান তাঁর গভীর ছিল, অথচ তিনি সাহস করে বলতে পেরেছিলেন— দেশে বিজ্ঞানমূলক পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার চাই। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বিদ্যার যথার্থ সমন্বয় সাধন করতে তিনি চেয়েছিলেন। বুদ্ধি জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক সম্পদের ক্ষেত্রে তাঁর এই ঐক্যসাধনের বাণী ভারতবর্ষের ইতিহাসে এক আশ্চর্য ঘটনা।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা