রায়হান রাফী
বাংলাদেশী পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার
রায়হান রাফী একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। আবদুল আজিজ প্রযোজিত এবং জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে তার প্রথম পোড়ামন ২ (২০১৮) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
উক্তি
সম্পাদনা- "বাংলাদেশে একটা বিষয়ে খুব কষ্ট লাগে, সেটা হলো কোনো ভালো জিনিষ করা হলেও অনেকে বিশ্বাস করতে চায় না। সবাই মনে করে এটা বুঝি নকল। এটা নিশ্চয় কোথাও থেকে কপি মারছে। এরকম ভাবনাটা বেশি। পৃথিবীর সব কিছু কোনো ঘটনা বা ক্ষেত্রের সঙ্গে মিলে যেতে পারে। কথা মিলে যেতে পারে কাজ মিলে যেতে পারে তাই বলে সেটা নকল না।"
- ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮-এ একুশে টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, উদ্ধৃত: তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটে
- "দর্শক আসলে বুঝিয়ে দিলেন ভাল কনটেন্ট হলে, ভালো গল্প হলে কোন তারকা লাগে না।"
- ২০ জানুয়ারি ২০২১-এ ডেইলি বাংলাদেশ-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে, উদ্ধৃত: তাদের ওয়েবসাইট
- "শ্রদ্ধেয় বড় ভাই, ছোট ভাইয়ের সিনেমার সাফল্যে এত জেলাসি ফিল করলে তো ‘চাপ দ্য প্রেশার’ বাড়বে। কুল ব্রো!"
- ১৪ জুলাই ২০২২-এ অনন্ত জলিলকে উদ্দেশ্য করে একটি ফেসবুক পোস্টে, উদ্ধৃত: ঢাকা ট্রিবিউন
- "আগে রোমান্টিক ছবি, রাজনৈতিক ছবি নির্মাণ করেছি কিন্তু ফুটবল নিয়ে বা কোনো খেলা নিয়ে শুটিং করিনি। খেলার শুটিং যে এত কঠিন, আমার জানা ছিল না। শুটিংয়ের একপর্যায়ে ভেবেছিলাম, শেষ করতে পারব না। কোনো কোনো দিন সিয়াম, রাজরা শুটিং করতে করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, অনেক সময় শুটিংয়ে তাঁদের বমি করতেও দেখেছি। আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। কী যে একটা অবস্থার মধ্যে আমাদের দিন গেছে, বলে বোঝাতে পারব না। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও মাথায় একটা জিনিসই কাজ করেছে, গল্প স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল, মুক্তিযুদ্ধ—এ ছবির কাজ আমাকে শেষ করতেই হবে। এবং আমি তা পেরেছি।"
- ১১ অক্টোবর ২০২২-এ স্টার সিনেপ্লেক্সে আয়োজিত দামাল চলচ্চিত্রের মিট দ্য প্রেসে, উদ্ধৃত: প্রথম আলো-এর একটি নিবন্ধে
তার সম্পর্কে উক্তি
সম্পাদনা- "নিঃসন্দেহে রায়হান রাফি ভাই আমার ক্যারিয়ারের জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট এবং অবশ্যই একজন লাকি চার্ম।"
- ফেসবুকে বিদ্যা সিনহা সাহা মীম, উদ্ধৃত: "রায়হান রাফি আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট: মিম"। নিউজ বাংলা ২৪। ১৮ জুলাই ২০২২।
- "ছেলেটা মাদ্রাসায় পড়ছে, ভালো ইংরেজি বলে না, আমাদের হাই সোসাইটির সদস্য না বা ওর ছবিতে একটা র (স্বভাবগত) ব্যাপার থাকে, সেই জন্যে ওকে নিয়ে সুশীল সমাজ খুব একটা টগবগায় না। কিন্তু ওর প্রথম শর্ট ফিল্ম দেখার পরেই আমার মনে হয়েছিল, রাফি অডিও-ভিজ্যুয়াল ল্যাঙ্গুয়েজটা বোঝে। এমন না যে সে একটা ফিনিশড প্রোডাক্ট।"
- ফেসবুকে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, উদ্ধৃত: "ছেলেটা মাদ্রাসায় পড়ছে, ভালো ইংরেজি বলে না..."। প্রথম আলো। ২৯ অক্টোবর ২০২২।
- "Of course, as a young filmmaker, Rafi has his own drawbacks but choosing a story of this scale, and depth must deserve applause. Also, inspiring the younger generation to learn more about Bangladesh’s independence while keeping the film entertaining is a huge plus. Despite receiving massive backlash and threats from different fundamentalist groups in Bangladesh, Raihan Rafi did not change the scene where Razakars slaughtered a doctor for helping the freedom fighters and they kept chanting ‘Nara-e-Takbir Allahu Akbar’ (Shout God is Great) while doing it. We need more filmmakers like Raihan Rafi who are not just visionary, but also bold enough to portray Bangladesh and its history the way it really took place".
- অনুবাদ: অবশ্যই, একজন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে, রাফীর নিজস্ব ত্রুটি রয়েছে তবে এই মাত্রার গল্প ও গভীরতা বেছে নেওয়া অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এছাড়াও, তরুণ প্রজন্মকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে আরও জানতে অনুপ্রাণিত করা ও চলচ্চিত্রটিকে বিনোদনমূলক রাখা একটি বিশাল সুবিধা। বাংলাদেশের বিভিন্ন মৌলবাদী গোষ্ঠীর কাছ থেকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও হুমকি পাওয়া সত্ত্বেও রায়হান রাফী সেই দৃশ্য বদলায়নি যেখানে রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করার জন্য একজন ডাক্তারকে জবাই করেছিল ও তা করার সময় তারা 'নারা-এ-তাকবির আল্লাহু আকবর' (আল্লাহ মহান চিৎকার করে) স্লোগান দিতে থাকে। আমাদের রায়হান রাফীর মতো আরও চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রয়োজন যারা কেবল দূরদর্শী নয়, বাংলাদেশ ও এর ইতিহাসে যেভাবে ঘটেছে তা তুলে ধরার জন্য যথেষ্ট সাহসী।
- সিয়াম রায়হান, "'Damal' film review: The one you must not miss"। দ্য বিজনেস পোস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ নভেম্বর ২০২২।
- অনুবাদ: অবশ্যই, একজন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে, রাফীর নিজস্ব ত্রুটি রয়েছে তবে এই মাত্রার গল্প ও গভীরতা বেছে নেওয়া অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এছাড়াও, তরুণ প্রজন্মকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে আরও জানতে অনুপ্রাণিত করা ও চলচ্চিত্রটিকে বিনোদনমূলক রাখা একটি বিশাল সুবিধা। বাংলাদেশের বিভিন্ন মৌলবাদী গোষ্ঠীর কাছ থেকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও হুমকি পাওয়া সত্ত্বেও রায়হান রাফী সেই দৃশ্য বদলায়নি যেখানে রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করার জন্য একজন ডাক্তারকে জবাই করেছিল ও তা করার সময় তারা 'নারা-এ-তাকবির আল্লাহু আকবর' (আল্লাহ মহান চিৎকার করে) স্লোগান দিতে থাকে। আমাদের রায়হান রাফীর মতো আরও চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রয়োজন যারা কেবল দূরদর্শী নয়, বাংলাদেশ ও এর ইতিহাসে যেভাবে ঘটেছে তা তুলে ধরার জন্য যথেষ্ট সাহসী।
- "রায়হান রাফি সিনেমার সাথে সাথে দালালিটাও ভালো করেন দেখি!"
- ৯ নভেম্বর, ২০২২-এ ফেসবুকে পরীমনি, উদ্ধৃত: চ্যানেল টোয়েন্টিফোর
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় রায়হান রাফী সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।