রুনা লায়লা

বাংলাদেশি গায়িকা

রুনা লায়লা (জন্ম: ১৭ নভেম্বর ১৯৫২) একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশী কণ্ঠশিল্পী। তিনি বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সংগীতের জন্য বিখ্যাত। তবে বাংলাদেশের বাইরে গজল শিল্পী হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তার সুনাম আছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই তিনি চলচ্চিত্রের গায়িকা হিসাবে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতীয় এবং পাকিস্তানি চলচ্চিত্রের অনেক গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। রুনা লায়লা বাংলা, উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দি, সিন্ধি, গুজরাটি, বেলুচি, পশতু, ফার্সি, আরবি, মালয়, নেপালি, জাপানি, স্পেনীয়, ফরাসি, লাতিনইংরেজি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন।

আমার কোনো অপ্রাপ্তি নেই।
―রুনা লায়লা
  • জীবনটাকে আমি সবসময় ইতিবাচকভাবে দেখি। ইতিবাচকভাবেই দেখি এবং সবকিছু ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবি। এই সময়ে এসেও চিন্তা করি নতুন কী করা যায়। সেভাবে কাজও করি। নতুন নতুন গান ও গানের সুরও করি। গানের মধ্যেই জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে দিলাম। বাকি দিনগুলোও কাটাতে চাই।
  • বাচ্চারা যখন ছোট থাকে, তখন মা-বাবার কাছ থেকেই আসল শিক্ষাটা নেয়। কোন পথে চলতে হবে, কোন পথ সহজ, কোনটা বাঁকা, এটা তাঁরাই শিখিয়ে দেন। তাঁদের শেখানো পথেই আমরা বড় হই। আমরা শিখেছি, কারও ক্ষতি করবে না, পারলে উপকার করবে। সেটা সারা জীবন আমরা তিন ভাইবোন মেনে চলেছি। এখনো চলছি।

রুনা লায়লা নিয়ে উক্তি

সম্পাদনা
  • একজন শিল্পীর পক্ষে ৫০ বছর পার করাটা সত্যিই অনেক বেশি আনন্দের। এটা সবাই পারে না। রুনা লায়লার মতো শিল্পীই পারেন শিল্পীজীবনের ৫০ বছর পার করতে। এখনো তিনি গান গেয়েই চলছেন। সহশিল্পী হিসেবে, এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের ও গর্বের। রুনা লায়লার মতো শিল্পীরা যুগে যুগে আসেন। তাঁর তুলনা তিনি নিজেই। মানুষ হিসেবে তাঁকে অসাধারণ মনে হয়। তাঁকে আমার কাছে ভালো এবং উঁচু মনের মানুষ বলে মনে হয়েছে। তিনি খুব মজার মানুষও বটে। খুব মাতিয়ে রাখতে পারেন। আমরা দুজন একসঙ্গে কয়েকটি কাজ করেছি। তা হাতেগোনা। চলচ্চিত্রে তুমি বড় ভাগ্যবতী ছবিতে একটি গান করেছি। তাঁকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন।
  • আমি ছোটবেলা থেকেই রুনা লায়লার গান শুনছি। তিনি অসাধারণ একজন গায়িকা। তাঁর কণ্ঠের মাধুর্য ও গায়কির মধ্য দিয়ে বাংলা গানে একটা নতুন অধ্যায় শুরু হয়। বাংলা লোকগানকে তিনি সবার সামনে নিয়ে আসেন। তাঁর ‘সাধের লাউ’, ‘বন্ধু তিন দিন’—এসব গান তো মানুষের মাঝে অন্য রকম এক জোয়ার সৃষ্টি করে। রুনা লায়লা এমন একজন শিল্পী যে লোকগান থেকে শুরু করে পপ, সব ধরনের গান গেয়েছেন। আমি সব সময় তাঁর ভক্ত। আমাকে তিনি ব্যক্তিগতভাবেও চেনেন। ভালোবাসেন। আমরা ভালো বন্ধু। আমাদের যেমন লতা মুঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলে আছেন, তার পরই আছেন রুনা লায়লা। এটা সত্যি সাংঘাতিক ব্যাপার। তাঁর কণ্ঠ সত্যিই মুগ্ধ করার মতো। তাঁর কাছ থেকে আরও ভালো ভালো গান আমরা চাই।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা