রেদোয়ান মাসুদ বাংলাদেশের একজন কবি, ঔপন্যাসিক ও ছড়াকার। তার লেখনীতে প্রেম-ভালোবাসা, দুঃখ-কষ্ট, দেশপ্রেম, মানবপ্রেম, আবেগ ও অনুভূতি জড়ানো থাকে। তিনি কবিতা দিয়ে সাহিত্য জগতে প্রবেশ করলেও একজন ঔপন্যাসিক হিসেবেই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পরিচিত।

১. মানুষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে যেই ব্যবহারটা করে সেটাই তার আসল চরিত্র।

২. প্রকৃত প্রেমিক হলেই ভালোবাসা পাওয়া যাবে না, ভালোবাসা পেতে হলে আপনাকে হতে হবে প্রকৃত অভিনেতাও।

৩. ভবিষ্যতে যার কাছ থেকে তুমি সবচেয়ে বড় কষ্টটি পাবে, আজ সে তোমার সবচেয়ে কাছের কোনো একজন।

৪. একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার প্রয়োজন হয়ে থাকার চেয়ে একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারির প্রিয়জন হওয়া অনেক সম্মানের, গৌরবের।

৫. প্রাপ্তি আর প্রত্যাশার পার্থক্য হলো দুঃখ। তাই নিজের প্রত্যাশাটা একটু কমিয়ে ফেলুন, দেখবেন আপনার দুঃখও কমে গেছে।

৬. মানুষ অহংকারগুলো তার সাথেই দেখায় যে তাকে খুব বেশি ভালোবাসে।

৭. কাউকে ভুলতে চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিন, না হলে জীবনেও তাকে ভুলতে পারবেন না।

৮. জীবনে যে পরিমান ভালোবাসা পেয়েছি তা দিয়ে কয়েক হাজার বছর বেঁচে থাকা সম্ভব কিন্তু জীবনে গুটি কয়েকজন মানুষের কাছ থেকে যে পরিমান অবহেলা পেয়েছি তা দিয়ে একদিনও বেঁচে থাকা সম্ভব না।

৯. যেই দেশে দেশপ্রেমিকের চেয়ে জ্ঞানীগুণী বেশি জন্মায় সেই দেশে শান্তির চেয়ে অশান্তিই বেশি থাকে।

১০. যোগ্য পাত্র মানেই ভালো পাত্র না, সকল ভালো পাত্রই যোগ্য পাত্র।

১১. বন্ধুর সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানো ঠিক নয়। বন্ধুত্ব সম্পর্কটা চিরদিনের জন্য যা কোনো কারণে ভেঙ্গে গেলেও আবার কোনদিন না কোনদিন জোড়া লাগে কিন্তু ভালোবাসার মানুষটির সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে ভালোবাসার পাশাপাশি বন্ধুত্বের সম্পর্কটাও হারিয়ে যায়।

১২. মানুষের মন যেদিনই ক্লান্ত হয় সেদিনই তার মৃত্যু হয়।

১৩. পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বড় অপরাধগুলো সংঘটিত হয় কলম দিয়ে অথচ মানুষ গালি দেয় অস্ত্রকে।

১৪ .নারীকে চেনার আগে জলকে চেনো।

১৫. টিয়া পাখির মতো মুখস্ত করে বড় বড় সার্টিফিকেট অর্জন করে বড় বড় চাকরি পাওয়াকে শিক্ষা বলে না, শিক্ষা হচ্ছে সেটা যা একজন মানুষের ভিতরের কুশিক্ষাকে দূর করে সমাজের পরিবর্তনে এগিয়ে আসার উৎসাহ যোগায়।

১৬. মন নিজের, নিয়ন্ত্রণ অন্যের।

১৭. পৃথিবীতে কঠিন বাস্তবের মধ্যে একটি বাস্তব হলো- মানুষ যখন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছায় আর তখনই তার প্রিয় মানুষটি হারিয়ে যায়।

১৮. সুখে থাকতে সবাই চায় কিন্তু কিছু মানুষের জীবনে সুখে থাকতে চাওয়াটাই দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

১৯. জীবন চলার পথে বাঁধা আসতেই পারে তাই বলে থেমে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। যেখানে বাঁধা আসবে সেখান থেকেই আবার শুরু করতে হবে।

২০ .সফল হতে হলে মনের বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়।

২১. নীরবে কাঁদার চেয়ে বড় কষ্ট পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আর নেই।

২২. কষ্ট মানুষের কাজের গতি বাড়ায় আর হতাশা গতি একবারে শ্লথ করে দেয়।

২৩. আঘাত হলো এক ধরনের জ্বালানী। – রেদোয়ান মাসুদ

২৪. কাটা দিয়ে কাটা তোলা যায় কিন্তু ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা পাওয়া যায় না।

২৫. যার জীবনই বিষাদের তার বিলাসিতা করতে নেই। কারণ বিলাসিতা থেকে আবার নতুন বিষের জন্ম হয়।

২৬. একটা ভুল মানুষকে হয়তো অনেক কাঁদায় কিন্তু মনে রাখতে হবে জীবনে এমন কিছু ভুল আছে যা ভবিষ্যতে হাজারটা ভুল থেকে বাঁচায়।

২৭. মানুষকে ঠকাতে যাদের বুক কাঁপে, বিবেকে বাঁধে তাদের জীবনে কখনো সুখ হয় না, দুঃখই সারা জীবন তাদের আড়াল করে রাখে।

২৮. ধর্ম যেখানে রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায় শান্তি সেখান থেকে দৌড়ে পালায়।

২৯. প্রেম কতদিন বাঁচে? যে ছেড়ে যায় তার প্রেম সেদিনই মরে যায় কিন্তু যাকে ছেড়ে যায় তার প্রেম আমৃত্যু থেকে যায়।

৩০. উঠতি বয়সি মেয়েরা যখন নিজেকে বুঝতে শুরু করে তার আগেই সবকিছু শেষ হয়ে যায়।

৩১. যারা অতিরিক্ত ভালোবাসা পায় তারা ভালোবাসা ধরে রাখতে পারে না। তারা সব সময় ভালোবাসাকে অবহেলা করে। জীবনের একটা সময় গিয়ে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য চিৎকার করে কাঁদে কিন্তু ভালোবাসা তখন আর ধরা দেয় না। কারণ সময় ঠিকই প্রতিশোধ নেয়।

৩২. কষ্টের চেয়ে হতাশা অনেক ভয়ংকর। কষ্ট মানুষকে সাময়িকভাবে ধাক্কা দিলেও তা কাটিয়ে ওঠে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় কিন্তু হতাশা মানুষকে শেষ করে দেয়। কারণ হতাশার সময় মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, দোটানায় পড়ে যায়।

৩৩. কাউকে ভালো রাখতে চাইলেই ভালো রাখা যায় না, এমনকি কাউকে ভালো রাখার ক্ষমতা বা যোগ্যতা থাকলেও ভালো রাখা যায় না। ভালো রাখতে গেলেও ভাগ্য লাগে।

৩৪. আমি আমার মৃত্যুকে মেনে নিতে পারি কিন্তু নিজের চোখের সামনে প্রিয়জনের মৃত্যু মেনে নিতে পারি না।

৩৫. মানুষ যখন তার শিকড় বা অস্তিত্বকে ভুলতে শুরু করে আর তখন থেকেই তার অধঃপতন শুরু হয়।

৩৬. বাবা হলেন একটি বাড়ির ছাদ, যে নিজে পুড়ে সন্তানদের ছায়া দেয় কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলে না।

৩৭. অতিরিক্ত স্বাধীনচেতা মেয়েগুলো ব্যক্তিগত জীবনে নিজেও সুখী হয় না, পরিবারকেও সুখী হতে দেয় না।

৩৮. ধার্মিকতা আর ধর্মান্ধতা এক জিনিস নয়। ধার্মিকতা মানুষকে আলোর পথে নিয়ে যায় আর ধর্মান্ধতা মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। এ দেশের মানুষকে আমি ধার্মিক বলব না কারণ এ দেশের বেশিরভাগ মানুষই ধর্মান্ধ।

৩৯. যে জেনে ভুল করে সে অনুশোচনাবোধ করে না।

৪০. ভালোবাসা শুধু তাদের জন্যই যারা ভালোবাসে না।

৪১. টাকা ও ক্ষমতাও এক ধরনের সৌন্দর্য।

৪২. এ পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয় সুন্দরী মেয়েরা আর ভালো ছেলেরা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এই সুন্দরী মেয়েরা ভালো ছেলেদের পাত্তাই দেয় না। আবার দেখা যায় সুন্দরী মেয়েরা কারো প্রেমে পড়লে বা বিয়ে হয়ে গেলে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয় সেই প্রিয় মানুষটি অর্থাৎ প্রেমিক বা স্বামী দ্বারাই।

৪৩. তোমার এক বন্ধুর সাথে অন্য কোনো বন্ধুকে পরিচয় বা বন্ধুত্ব করিয়ে দিলে মানে দুই বন্ধুকেই হারিয়ে ফেললে। একসময় দেখা যাবে তোমার ঐ দুই বন্ধু একে অপরের ঘনিষ্ট বন্ধু হয়ে গেছে আর তুমি দুজনেরই শত্রু হয়ে গেছ।

৪৪. আপনি যখন উপরের দিকে উঠতে থাকবেন তখন চারদিক থেকে আপনার কাছের মানুষগুলো দূরে সরে যাবে। আবার যখন আপনি শীর্ষে পৌঁছে যাবেন তখন চারদিক থেকে সবাই আপনার বন্ধু হতে থাকবে।

৪৫. বিয়ের পরে সেটা আর ভালোবাসা থাকে না, স্বামী স্ত্রী যেন দুটো যন্ত্র হয়ে যায়। যেখানে সবকিছু চলে নিয়ম মাফিক। ভালোবাসা হচ্ছে একটা অনিয়ম। যখন সেখানে নিয়মকানুন চলে আসে তখন আর ভালোবাসা থাকে না।

৪৬. নারীর হৃদয় হলো এমন একটা জায়গা যেখানে গেলে সব পুরুষই নিজেকে হারিয়ে ফেলে।

৪৭. আজকাল প্রেম মানে এক ধরণের সংসার।

৪৮. মেয়েরা সাধারণত পুরুষের ভালো আচরণ বা ব্যবহার দেখে তাদের প্রতি দুর্বল হয় না, মেয়েরা দুর্বল হয় পুরুষের অভিনয় দেখে।

৪৯. কারো জন্য কিছু থেমে না থাকলেও মনে কিছু আক্ষেপ থেকে যায়, যা কোনদিনও শেষ হয় না, শুধু জীবন ভরে কাঁদায়।

৫০. পরমাণু বোমার চেয়েও শক্তিশালী বোমা হলো মানুষের বুকফাটা কান্না, একটা বোমা ফাটার শব্দ সারাবিশ্ব শুনতে পায় অথচ মানুষের বুকফাটা কান্না পাশে বসে থাকলেও কেউ শুনতে পায় না।

৫১. কাউকে ভুলে যাওয়া যায় কিন্তু কাউকে ভোলানো যায় না।

৫২. বিয়ে হচ্ছে নিজের অধিকার আরেকজনের উপর হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক দলিল।

৫৩. মন অনেক কিছুই চাইবে কিন্তু তা বিবেক দিয়ে বিচার করবে। তাহলেই তুমি বুঝবে কোনটা তোমার করা উচিত আর কোনটা করা উচিত নয়।

৫৪. মনের মতো মানুষ ছাড়া সংসার করা আর ডাস্টবিনের পাশে বসে থাকা একই কথা।

৫৫. পৃথিবীতে তোমার হাজার হাজার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাক্সক্ষী থাকবে কিন্তু সবশেষে তুমি একজন মানুষকেই খুঁজে পাবে, যাকে তুমি শত আঘাত দেওয়ার পরেও সে শুধু তোমার ভবিষ্যৎ নিয়েই ভাবে, আর তিনি হলেন মা।

৫৬. যার যেটা নেই সে কখনও সেটার মূল্য বুঝে না, একমাত্র সেই ব্যক্তিই সেটার মূল্য বুঝে যার কোনো জিনিস পূর্বে ছিল কিন্তু এখন নেই।

৫৭. মা হলো স্নেহের ভান্ডার যা কখনও নিঃশেষ হয় না।

৫৮. জীবনটাকে কখনই রসগোল্লা ভাববেন না, জীবনটা আসলে কাঁচা মরিচের মত। যত খাবেন ততই ঝাল কিন্তু সব ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ। তাই যত বেশি মানুষের সাথে চলবেন তত বেশিই আঘাত পাবেন। কিন্তু জীবনে বড় ধরণের শিক্ষা পাবেন যা আপনাকে একসময় সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যাবে।

৫৯. স্বপ্ন তাকে নিয়েই দেখো যে শুধু স্বপ্ন দেখায় না বাস্তবায়নও করে কিন্তু এমন কাউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখো না যে স্বপ্ন দেখিয়ে নিজেই হারিয়ে যায়।

৬০. স্বপ্ন শুধু হাসায় না, কাদায়ও। – রেদোয়ান মাসুদ

৬১.ভালো মানুষকে সবাই ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে কিন্তু পাত্র হিসেবে মোটেও পছন্দের না।

৬২. কেউ সম্পূর্ণ আপনার মতো হবে না একইভাবে আপনিও কারো মতো হবেন না, দুজনের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকবেই আর এই পার্থক্যটুকুই হলো ধৈর্য।

৬৩. তোমাকে ছাড়া থাকার কোনো সাধ্য আমার নেই, কারণ তোমাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। তোমাকে ধরে রাখার কোনো উপায় আমার কাছে জানা নেই, কারণ বাস্তবতার কাছে আমি বড় অসহায়।

৬৪. তুমি তার জন্য কাঁদো কারণ তুমি তাকে এখনও ভালোবাসো, তোমার কান্না দেখে সে হাসে কারণ সে কখনোই তোমাকে ভালোবাসেনি। শুধু সময়ের প্রয়োজনে কাছে এসেছিলে আবার সময়ের পরিবর্তনে চলে গেছে। মাঝখানে যা কিছু হয়েছিল সব আবেগ আর শেষে যা হয়েছে সব প্রতারণা।

৬৫. সুখে থাকাই জীবনের চরম সার্থকতা নয় বরং কাউকে সুখে রাখতে পারাটাই হলো জীবনের সবচেয়ে বড় সার্থকতা।

৬৬. পৃথিবীতে কেউ কারো নয়, শুধু সুখে থাকার আশায় কাছে টানার ব্যর্থ প্রত্যয় আর দূরে চলে যাওয়ার এক বাস্তব অভিনয়।

৬৭. ভালোবাসা মানে এই নয় যে কাউকে বিয়ে করতেই হবে, কখনও কখনও ভালোবাসার মানুষের সুখের জন্য বুকের ভেতরে শত যন্ত্রণা ঢেকে রেখে হাসি মুখে প্রিয় মানুষটিকে বিদায় দিতে হয়।

৬৮. ভালোবাসা হচ্ছে দুটি মনকে এক রশিতে বাঁধা, অর্থাৎ মরলে দু’জন এক সাথে মরা আর বাঁচলে দু’জন একসাথে বাঁচা।

৬৯. আবেগ আর বিবেক দুইটাই ভিন্ন জিনিস। আবেগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর আর বিবেক মানুষকে ভালো মন্দ বাছাই করতে শেখায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমরা সবাই আবেগের কাছে বিবেক হারাই কিন্তু বিবেকের কাছে আবেগ হারাই না।

৭০. ভুল থেকেই মানুষ শিখে কিন্তু সে ভুলটি যেন না হয় জীবনের শেষ ভুল। কারণ এমনও হতে পারে আপনি যেই সুযোগটি হাতছাড়া করে ফেলেছেন সেই সুযোগটিই ছিল আপনার জীবনের শেষ সুযোগ।

৭১. কিছু মানুষের কষ্ট চোখ দিয়ে ঝরে, কিছু মানুষের কষ্ট মেজাজ দিয়ে প্রকাশ করে, কিছু মানুষের কষ্ট হৃদয়ের মাঝে শুকিয়ে মরে, তবে কষ্টকে যারা প্রকাশ করতে না পারে, তারাই জীবনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে।

৭২. ভালোবাসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বোকামির কাজটি করে মেয়েরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তারা অযোগ্য ও অপদার্থ ছেলেদের জন্য নিজদেরকে উজাড় করে দেয়, আবার যোগ্য ও ভালো ছেলেদেরকে দূরে ঠেলে দেয়। তাই দুই দিক থেকেই তারা বোকামির পরিচয় দেয়।

৭৩. কেউ তোমাকে অনেক ভালোবাসবে, সহজেই অনেক আপন করে নেবে। আর তাতে তুমি আনন্দে ভেসে যেও না। এ আনন্দ তোমার জন্য নাও সইতে পারে। অপেক্ষা করো সময়ের জন্য। সময়ই বলে দেবে এ ভালোবাসা তোমার জন্য সুখের না দুঃখের।

৭৪. যে থাকবে না তাকে যত ভাবেই আটকে রাখতে চাওনা কেন কোনো লাভ হবে না, কারণ সে ইতিমধ্যে তোমার প্রতি তার সকল মায়া ত্যাগ করে ফেলেছে। হয়তোবা তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে ভালোবাসার অভিনয় করবে কিন্তু তুমি তাকে এতই ভালোবেসে ফেলেছ যে তার সামান্য একটু অভিনয়েই তাকে ফিরে পাওয়ার স্বপ্নে অস্থির হয়ে যাবে। আসলে এ স্বপ্নই তোমাকে আরো বেশি কষ্ট দিবে, যা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না।

৭৫. কিছু চোখ তোমার দিকে বাঁকা নজরে তাকাবে, কিছু হৃদয় তোমাকে আপন করে নিতে চাইবে, আর কিছু কণ্ঠ তোমাকে মধুর সুরে ডাকবে। তাই বলে তুমি সবার দিকে তাকাতে পারো না, সবার হৃদয়ের সাথে হৃদয় মেলাতে পারো না, সবার কণ্ঠে কণ্ঠ দিতে পারো না। তোমাকে এমন একজনকে বেছে নিতে হবে যে তোমার চেহারা দেখে ভালোবাসে না, ভালোবাসে শুধু তোমার হৃদয় দেখে।

৭৬. যে হাত দিয়ে তুমি কাউকে ফিরিয়ে দিলে কিন্তু মনে রাখতে হবে সে হাত যেন আবার কোনদিন কারো কাছে পাততে না হয়।

৭৭. যারা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে তারা কখনও অন্যের দুঃখ কষ্টকে উপলব্ধি করতে পারে না।

৭৮. প্রেম হলো মরণব্যাধির চেয়েও ভয়ানক রোগ। কারণ মরণব্যাধি মানুষকে একবারে শেষ করে দেয়। আর প্রেম রোগ অনেককে সারা জীবন তিলে তিলে ক্ষয় করে মারে।

৭৯. ভালোবাসা হলো দুটি হৃদয়ের সমন্বয়, যেখানে একটি ছাড়া অন্যটি অচল।

৮০. কাউকে দুঃখ দিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে দুঃখ নিয়ে বেঁচে থাকা অনেক ভালো। কারণ নিজের কষ্টের জন্য কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। কিন্তু অন্যকে কষ্ট দিলে জীবন ভরে তার অভিশাপ মাথায় নিয়ে চলতে হয়।

৮১. ভালোবাসা আর ভালো লাগা এক জিনিস না। ভালো সবারই লাগে কিন্তু ভালোবাসতে ক’জন পারে?

৮২. রাজনীতি হলো দেশ শাসনে উপযুক্ত ব্যক্তি নির্বাচনের মূল হাতিয়ার কিন্তু যদি সমাজের ভালো মানুষেরা রাজনীতিতে আসতে ভয় পায় তাহলে দেশের ধ্বংস অনিবার্য।

৮৩. বাঁকা পথে হাঁটলেও পথ হারাইয়ো না, যে পথ তুমি হারিয়ে ফেলবে হয়তবা সে পথ আবার খুঁজে পাবে কিন্তু যে সময়টুকু পিছনে ফেলে আসবে সে সময় আর ফিরে পাবে না।

৮৪. নিজেকে কখনও ছোট করে দেখো না, তাহলে তোমার আত্মাই মরে যাবে। আত্মা মরে গেলে মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভুলে যায়। আর স্বপ্ন ছাড়া মানুষ কখনও বেঁচে থাকতে পারে না।

৮৫. কাউকে যদি বেশি মায়া করো তবে সেই তোমাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেবে।

৮৬. যে ভালোবাসার মাঝে হারানোর ভয় থাকে আর সে কথা ভেবে দুজনেই কাঁদে সে ভালোবাসা হচ্ছে প্রকৃত ভালোবাসা।

৮৭. কাউকে কখনও বেশি আপন করে নিও না, তাহলে তার কাছে তোমার নিজের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে।

৮৮. প্রতিটা মানুষই তার নিজের কাছে নির্ভুল। আর এ জন্যেই মানুষ ভুল করে, কারণ ভুলকে নির্ভুল ভেবেই মানুষ সবচেয়ে বড় ভুল করে থাকে।

৮৯. অতিরিক্ত আড্ডাপ্রিয় মানুষের জীবনে কখনও উন্নতি হয় না।

৯০. সার্টিফিকেট বাড়ছে মানেই এই নয় যে দেশ ভারমুক্ত হচ্ছে, এ দেশে সার্টিফিকেট বাড়ছে মানে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যাটাও ভারী হচ্ছে।

৯১. পাখি স্বাধীনভাবে উড়তে পারে ততক্ষণই যতক্ষণ তার ডানা মুক্ত থাকে কিন্তু সেই ডানায় যখন তার বাচ্চা থাকে তখন সে আর স্বাধীনভাবে উড়তে পারে না। তাকে খুব সাবধানে উড়তে হয়।

৯২. তার জন্য কাঁদো যে তোমার চোখের জল দেখে সেও কেঁদে ফেলে কিন্তু এমন কারো জন্য কেঁদো না যে তোমার চোখের জল দেখে উপহাস করে।

৯৩. যে জীবনে কোনদিন ভুল মানুষের সাথে চলেনি সে কখনো শুদ্ধ হতে পারে না।

৯৪. সাময়িক প্রয়োজন দীর্ঘ সময়ের দুঃখের কারণ।

৯৫. ইগো হলো শয়তানের একটি বড় হাতিয়ার যা অনেক বুদ্ধিমান ও যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষদেরকেও খুব দ্রুত বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যায়।

৯৬. সঙ্গী খারাপ হলে শুধু একটা মানুষের জীবনই ধংস করে না, পুরো একটা পরিবারকেই দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলে দেয়।

৯৭. বাবার মস্তিষ্কে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি খেলা করে সেটি হলো সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করে যাওয়া আর সন্তানদের মস্তিষ্কে সবচেয়ে বেশি খেলা করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুন্দর একজন জীবনসঙ্গী পাওয়া।

৯৮. ভাগ্য মানুষকে এতটাই অসহায় করে দেয় যে যেখানে দুনিয়ার সকল প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হতে বাধ্য।

৯৯. মেধা থাকলেই তাকে মেধাবী বলা যায় না, মেধাবী হলো সে-ই যার মেধা না থাকা সত্ত্বেও চেষ্টা দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

১০০. অপমান হলো একটি তীর, যতই ভুলতে চাইবেন ততই হৃদয়ের গভীরে বিদ্ধ হবে।।[]