লাইলাতুল মেরাজ
কুরআনে বর্ণিত নবি মুহাম্মদ কর্তৃক এক রাত্রে মক্কা থেকে জেরুজালেম, এবং সেখান থেকে আসমানে ভ্রমণের
ইসলাম ধর্মমতে লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত (যা সচরাচর শবে মেরাজ নামে অধিকতর পরিচিত) হচ্ছে যে রাতে ইসলামের নবি মুহাম্মদ (সা:) ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। অনেক মুসলমান এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এই রাতটি উদ্যাপন করেন। আবার অনেক মুসলমান এই রাত উদ্যাপন করেন না বরং এই রাত উদ্যাপন করাকে বিদআত বলেন। ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ, মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক (ফরজ) করা হয় এবং এই রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করার বিধি মুসলমানদের জন্য নিয়ে আসেন নবি মুহাম্মদ (সা:)।
উক্তি
সম্পাদনা- পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তার বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনি-ই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।"
- মিরাজের রাতে নবী (সা.)-এর ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছিল। অতঃপর কমাতে কমাতে পাঁচ ওয়াক্তে সীমাবদ্ধ করা হয়। অতঃপর ঘোষণা করা হয়, হে মুহাম্মাদ! আমার নিকট কথার কোনো অদল-বদল নেই। তোমার জন্য এই পাঁচ ওয়াক্তের মধ্যে পঞ্চাশ ওয়াক্তের সওয়াব রয়েছে।
- তিরমিজি, হাদিস নং: ২১৩
লাইলাতুল মেরাজ নিয়ে উক্তি
সম্পাদনা- আবু হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘যে রাতে নবী (সা.)-কে মিরাজ ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে রাতে তার কাছে মদ ও দুধের দুটি পাত্র আনা হয়। তখন তিনি উভয়টির দিকে তাকিয়ে দেখে দুধের বাটিটা তুলে নেন। এটি দেখে জিবরাইল (আ.) বললেন, ‘সেই আল্লাহর প্রশংসা, যিনি আপনাকে প্রকৃত দিকেই পথ দেখালেন। যদি আপনি মদের পাত্রটি ধারণ করতেন, তাহলে আপনার উম্মত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত।
- বুখারি, হাদিস নং: ৪৭০৯
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় লাইলাতুল মেরাজ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।