শফিকুর রহমান (রাজনীতিবিদ)

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর

শফিকুর রহমান একজন বাংলাদেশী চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমীর। তিনি ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর নির্বাচিত হয়ে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। একই বছরের ২৭ অক্টোবর তিনি ২০২৩-২০২৫ কার্যকালের জন্য পুনরায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর নির্বাচিত হন।

  • জামায়াতে ইসলামী তখন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নাই এটা সত্য। জামায়েতে ইসলামী এক পাকিস্তান, পাকিস্তানকে ঐক্যবদ্ধ রাখার পক্ষে ছিল এটা সত্য। আমি অস্বীকার করলেই অস্বীকার হয়ে যাবে না। জামায়াতে ইসলামের একটাই যুক্তি ছিল যে, ভারত একটা বৃহৎ প্রতিবেশী। যদি তাদের নিয়ন্ত্রণে এবং সহযোগিতায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয় তাহলে এই স্বাধীনতার ফসল বাংলাদেশের জনগণের ঘরে উঠবে না।
    • চ্যানেল আই-এ দীপ্তি চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর শফিকুর রহমান, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • একাত্তরে আমরা কোনো ভুল করে থাকলে এবং তা যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাইব।
    • লন্ডনে বাংলাভাষী সংবাদমাধ্যমে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে, ২০ নভেম্বর ২০২৪ [১]
  • স্বাধীনতার ৫৪ বছর কেটে গেলেও, যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম তা আজও পূরণ হয়নি।
    • ১৫ মার্চ ২০২৫ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক ইফতার মাহফিলে। [২]
  • রাজনৈতিক দল হিসেবে কারও প্রতি আমাদের কোনো ক্ষোভ নাই। আমরা সবাইকে ক্ষমা করে দিলাম। কিন্তু যারা নির্দিষ্ট অপরাধ করেছে, তাদের সেই অপরাধের শাস্তি পেতে হবে। এই শাস্তিটা নিশ্চিত না হলে সমাজে কোনো সংশোধন হবে না।
    • ২৮ আগস্ট ২০২৪ এ গুলশানের একটি হোটেলে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায়। [৩]
  • ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতা দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তদানীন্তন শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। ক্ষুধা-দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও দুঃশাসনমুক্ত একটি দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বস্তরের জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীনতা লাভ করে।...আমরা মহান স্বাধীনতা দিবসে গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করছি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ওইসব জনতাকে, যাদের ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ বিশ্বমানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করেছে।
  • ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজন ও সংখ্যালঘু ধারণায় আমরা বিশ্বাসী নই। ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত বা সংখ্যালঘু কনসেপ্টে বিশ্বাসী নই বরং আমরা সবাই বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। সবাই মিলে দেশকে কল্যাণের রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতের এ সংগ্রামে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ সব ধর্মের মানুষের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। 
    • ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকায় মিরপুর সেনপাড়া খ্রিষ্টান চার্চে। [৫]

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা