শফিক রেহমান

বাংলাদেশী সাংবাদিক

শফিক রেহমান (জন্ম ১১ নভেম্বর ১৯৩৪) একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টিভি উপস্থাপক ও লেখক। তাকে বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের প্রচলক হিসেবে মনে করা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের পক্ষে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সাথে কাজ করেন।

  • হ্যাল্লো, ওয়েলকাম, গুড ইভিনিং। কেমন আছেন সবাই? আমাদের সবার পক্ষ থেকে নিন একরাশ লাল গোলাপ শুভেচ্ছা। আসুন, বসুন, দেখুন, আজকের লাল গোলাপ।
    • শফিক রেহমান সঞ্চালিত আর্ট-শো "লাল গোলাপ" অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বের শুরুতে
  • "সেকালে কিছু বুদ্ধিবৃত্তিক প্রেম হতো। তখন বই পড়া ছিল। তখন মননশীলতা ছিল। তাই গভীরতাটাও বেশি ছিল। আর এখন মোবাইল, ফেসবুক ভিত্তিক যে প্রেম, তার গভীরতা একটু কম। আগে প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে একটি চিঠি পৌঁছে দিতে কত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতো। আর এখন প্রেমটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। আর যে প্রেম সহজে হয় তা দ্রুত ভেঙেও যেতে পারে।"
    • ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে, উদ্ধৃত: রাইজিংবিডি
  • "আজকের ভালোবাসা দিনে যে বার্তাটি বিশেষ করে পৌঁছে দিতে চাই সেটা হলো, ফুল ও চকোলেটের পাশাপাশি প্রেমিক-প্রেমিকারা ইচ্ছে করলে দুটি তালা কিনে একে অপরকে লক করে চাবিটা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আরও শক্ত বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন।"
  • "আমি বহুবছর লণ্ডনে থাকার সুবাদে জানতাম, এখানে কীভাবে ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপিত হয়। কিন্তু বাংলাদেশে আমি এই নামের পরিবর্তে ভালোবাসা দিবস দিয়েছিলাম ইচ্ছে করে। ভ্যালেন্টাইন্স ডে বললে অনেকে বলবে এটা খ্রীষ্টানদের ব্যাপার, বলবে আমি এটা ধর্মীয় দিকে টেনে নিয়ে গেলাম। যে সপ্তাহে আমাদের ভালোবাসা সংখ্যা বের হয়, ঐ একই সপ্তাহে বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন তাদের প্রথম ভালোবাসা সংখ্যা প্রকাশ করে। সেজন্যে অনেকে বলেন, আমি টাইম ম্যাগাজিনের চেয়ে একটু এগিয়ে ছিলাম। আমি কিন্তু ভাবিইনি যে এই ভালোবাসা দিবস এত বড় আকার ধারণ করবে। বাঙ্গালি যেন এটারই অপেক্ষায় ছিল।"

তার সম্পর্কে

সম্পাদনা
  • "অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেই ডিবির হাতে যেসব ডকুমেন্ট তুলে দিয়েছেন তাতে আমার মনে হয় কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বিষধর সাপ বেরিয়ে আসছে। শফিক রেহমানের বাসায় যে ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে সেখানে অপহরণ ও হত্যার চক্রান্ত আছে।"
  • "শফিক রেহমান ও আবদুল গাফফার চৌধুরী ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সহপাঠী। শফিক ভাই বলতেন, গাফফার ভাই তার ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানটি তাদের বাসায় বসে লিখেছেন। গানটি লেখার কয়েকদিন আগে গাফফার ভাই পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে দৌড়াতে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন। প্রফেসর সাইদুর রহমানের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই গানটি লেখা। শফিক ভাইয়ের ভাষায়, আমার রুমে বসে আমার আম্মার রান্না খেয়ে লেখা।"

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা