শামসুজ্জামান খান

শামসুজ্জামান খান (২৯ ডিসেম্বর ১৯৪০ - ১৪ এপ্রিল ২০২১) ছিলেন একজন বাংলাদেশী অধ্যাপক, লোক সংস্কৃতি ও পল্লীসাহিত্য গবেষক এবং বাংলা একাডেমির প্রাক্তন মহাপরিচালক। শামসুজ্জামান খানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কর্ম হল বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা শিরোনামে ৬৪ খণ্ডে ৬৪ জেলার লোকজ সংস্কৃতির সংগ্রহশালা সম্পাদনা এবং ১১৪ খণ্ডে বাংলাদেশের ফোকলোর সংগ্রহমালা সম্পাদনা। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।

উক্তি সম্পাদনা

  • আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার পাঠ্যপুস্তক শিশুদের জ্ঞানের জন্য যথেষ্ট নয়। ভালো শিশুসাহিত্যের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। প্রগতিমনস্ক সাহিত্য সারথির এমন মন্তব্য সমকালীন বাস্তবতা। ভবিষ্যতের সুন্দর দেশ বিনির্মাণে আমাদের শিশু-কিশোররা কী সঠিক পথে হাঁটছে?
  • সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা না থাকলে প্রকৃতি শিক্ষিত হওয়া যায় না'
    • শামসুজ্জামান খান, সাক্ষাৎকার গ্রহণ: স্বকৃত নোমান, ২১ মে ২০১৫ তারিখে অনলাইনে প্রকাশিত
  • বর্তমান বিশ্বে ফোকলোরের বৈজ্ঞানিক পঠন-পাঠন হচ্ছে। জ্ঞানের ক্ষেত্রে গবেষকের সংখ্যা আমাদের দেশে খুবই নগণ্য।
  • লোকসংগীত সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান থাকা দরকার। শুধু বাণী দিয়ে কিছুই বোঝা যাবে না। লোকসংগীত সংগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে শুরু সংগ্রহ করতে হবে। সুন্দর পরিবেশ না হলে সুন্দর জীবন হতে পারে না। বাংলা একাডেমিকে কেন্দ্র করে একটি ফোকলোর ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। ইংরেজি ভাষায় বাংলাদেশের প্রচার হওয়া আবশ্যক। আমাদের দেশ ও জাতিকে জাগ্রত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে এমনকি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফোকলোর পঠন পাঠন একান্ত হয়ে পড়েছে।

শামসুজ্জামান খান সম্পর্কে উক্তি সম্পাদনা

  • একটি দেশের একটি জাতির সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো তার নিজস্ব সংস্কৃতি, আচার, ঐতিহ্য, লোকজ উৎসব, জীবনধারা, কৃষ্টি, সাংস্কৃতিক পরিক্রমা। একজন লোকজ গবেষক হিসেবে শামসুজ্জামান খানের যে সৃষ্টি আর মাটির সঙ্গে মিশে গ্রাম বাংলার পথ, প্রান্তর, জনপদ, জনমানুষের সঙ্গে মিশে যে কর্মব্যাপ্তি তা নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। বাংলাদেশ তো বটেই বাংলা সাহিত্যেও তা হাতেগোনা কয়েকজন মাত্র।
  • বাঙালির আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামী এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতির অঙ্গণের এক নির্ভরতার স্থল ছিলেন তিনি। তার প্রয়াণে অপূরণীয় ক্ষতি হলো বাংলাদেশের।