সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

ভারতীয় লেখক
  • পূর্ব্বে লিখিলে যাহা লিখিতাম, এক্ষণে যে তাহাই লিখিতেছি এমত নহে। পূর্ব্বে সেই সকল নির্জন পৰ্ব্বত, কুসুমিত কানন প্রভৃতি যে চক্ষে দেখিয়াছিলাম, সে চক্ষু আর নাই। এখন পর্ব্বত কেবল প্রস্তরময়, বন কেবল কন্টকাকীর্ণ, অধিবাসীরা কেবল কদাচারী বলিয়া স্মরণ হয়। অতএব যাঁহারা বয়োগুণে কেবল শোভা সৌন্দর্য্য প্রভৃতি ভালোবাসেন, বৃদ্ধের লেখায় তাঁহাদের কোনো প্রবৃত্তি পরিতৃপ্ত হইবে না।
    • "পালামৌ"- সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রথম সংস্করণ - বৈশাখ ১৩৫১, প্রকাশক- বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ, প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ - ফাল্গুন, ১৩৯৫ (ফেব্রুয়ারি,১৯৮৯) ষষ্ঠ সংস্করণ দশম মুদ্রণ- ফাল্গুন , ১৪১৮ (ফেব্রুয়ারি,২০১২),প্রকাশক- বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, পৃষ্ঠা- ১২
  • চারি পার্শ্বস্থ আর সকল যেরূপ, সেইরূপ হইলেই মানুষ বলো, পশু বলো, যাহা বলো, তাহাই টিকে, নতুবা লোপ পায়। এই নিয়ম। যেখানে সমাজের সকলেই অতি নীচ সেখানে নীচ ব্যক্তিই টিকিবে, নীচ ব্যক্তিরই উন্নতি হইবে; উচ্চপ্রকৃতির লোক, সে সমাজে প্রধানত্ব পাওয়া দূরে থাক্ একেবারে লোপ পাইবে।
    • "জাল প্রতাপচাঁদ" , বঙ্গদর্শন হইতে উদ্ধৃত ,দ্বিতীয় সংস্করণ, কলিকাতা, ২০১, কর্ণওয়ালিস্ স্ট্রীট, বেঙ্গল মেডিকেল লাইব্রেরী হইতে শ্রীগুরুদাস চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক প্রকাশিত, ২৪ নং বীডন স্ট্রীট ভিক্টোরিয়া প্রেসে, শ্রীমণিমোহন রক্ষিত দ্বারা মুদ্রিত,প্রকাশকাল- ১২৯৭(বাংলা সন),পৃষ্ঠা - ২০
  • অনেকে আছেন, বড় বড় বিষয় মোটামুটি দেখিতে পারেন, কিন্তু সূক্ষ্ম বিষয়ের প্রতি তাহাদের দৃষ্টি একেবারে পড়ে না। তাঁহাদের প্রশংসা করি না। যাঁহারা বৃহৎ সূক্ষ্ম একত্র দেখিয়া কার্য্য করেন, তাঁহাদেরই প্রশংসা করি। কিন্তু এরূপ লোক অতি অল্প।
    • "পালামৌ"- সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রথম সংস্করণ - বৈশাখ ১৩৫১, প্রকাশক- বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ, প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ - ফাল্গুন, ১৩৯৫ (ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৯)

ষষ্ঠ সংস্করণ দশম মুদ্রণ- ফাল্গুন, ১৪১৮ (ফেব্রুয়ারি, ২০১২), প্রকাশক- বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, পৃষ্ঠা - ১৮

  • নিত্য মুহূর্তে এক একখানি নূতন পট আমাদের অন্তরে ফোটোগ্রাফ হইতেছে এবং তথায় তাহা থাকিয়া যাইতেছে। আমাদের চতুষ্পার্শ্বে যাহা কিছু আছে, যাহা কিছু আমরা ভালোবাসি, তাহা সমুদয় অবিকল সেই পটে থাকিতেছে। সচরাচর পটে কেবল রূপ অঙ্কিত হয়; কিন্তু যে পটের কথা বলিতেছি, তাহাতে গন্ধ স্পর্শ সকলই থাকে, ইহা বুঝাইবার নহে, সুতরাং সে কথা থাক।
    • "পালামৌ"- সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রথম সংস্করণ - বৈশাখ ১৩৫১, প্রকাশক- বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ, প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ - ফাল্গুন, ১৩৯৫ (ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৯)

ষষ্ঠ সংস্করণ দশম মুদ্রণ- ফাল্গুন , ১৪১৮ (ফেব্রুয়ারি, ২০১২), প্রকাশক- বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, পৃষ্ঠা - ৫৫

  • আমি মরিব না, পরলোক আমি চাহি না। চাহি না বা কেন বলি, মরণ আছেই; মৃত্যু অলঙ্ঘনীয়, অপরিহার্য্য, যে জন্মিয়াছে সেই মরিয়াছে অথবা মরিবে। তুমি নিশ্চয় মরিবে। আমিও নিশ্চয় মরিব। সময় উপস্থিত হইলে যত্নে কি ঔষধে রক্ষা করিতে পারিবে না। অতএব আমার ইচ্ছা অনিচ্ছা বৃথা।
    • "কণ্ঠমালা" (উপন্যাস) , চতুর্দশ পরিচ্ছেদ, পৃষ্ঠা - ৫৭, বঙ্গদর্শন যন্ত্রে শ্রীরাধানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক মুদ্রিত ও প্রকাশিত, প্রকাশকাল - ১৮৭৭



সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে উক্তি

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা