সিরাত

মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবনী

সীরাত ইসলামে আস-সিরা আন-নবুবিয়া (নবীজির জীবনী) সিরাত আল-রাসুলাল্লাহ (আল্লাহর রাসুলের সিরাত), বা সীরাত বলতে হযরত মুহাম্মদ (সা) এর জীবনীকে বুঝায়। এই সীরাত এর তথ্য কুরআন ছাড়াও সহীহ হাদীস, তার জীবনী এবং ইসলামের প্রাথমিক যুগে সর্বাধিক বিশ্বাসযোগ্য ঐতিহাসিক তথ্য হতে পাওয়া যায়। ইবনে ইসহাক সীরাত রাসূল আল্লাহ লিখেন যা তার ছাত্র আল-বাক্কা' সংরক্ষণ করেন, যেখান থেকে ইবনে হিশাম আরও সম্পাদনা করেন।

প্রাথমিক যুগের সীরাত নিয়ে অন্যান্য লেখকদের বই আর পাওয়া যায়নি, যেখানে শুধু বিচ্ছিন্ন কিছু উদ্ধৃতি এবং হাদিস পাওয়া গিয়েছে। আর্-রাহীকুল মাখতূম, যে ফুলের খুশবুতে সারা জাহান মাতোয়ারা, নবীয়ে রহমত, সীরাতুল মুস্তফা, সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া, আন নাবিয়্যুল খাতিম আধুনিক সীরাত গ্রন্থের অন্যতম।

  • তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালকে ভয় করে এবং আল্লাহকে বেশি স্মরণ করে, তাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের জীবনে আছে উত্তম আদর্শ।’
    • (সূরা আহজাব, আয়াত : ২১)

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِیْ رَسُوْلِ اللهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَنْ كَانَ یَرْجُوا اللهَ وَ الْیَوْمَ الْاٰخِرَ وَ ذَكَرَ اللهَ كَثِیْرًا

  • সূরাতুল আহযাবের একটি বিখ্যাত আয়াত তিলাওয়াত করা হল,
    • সূরা : ৩৩, আয়াত : ২১।
  • হযরত আদম আ. থেকে নবী ও রাসূলের এই ধারা আরম্ভ করেছেন এবং হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটিয়েছেন। সূরাতুল বাকারায় আছে, হযরত আদম আ.-কে লক্ষ করে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, যখন তাঁকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়- اهْبِطُوْا مِنْهَا جَمِیْعًا فَاِمَّا یَاْتِیَنَّكُمْ مِّنِّیْ هُدًی فَمَنْ تَبِعَ هُدَایَ فَلَا خَوْفٌ عَلَیْهِمْ وَ لَا هُمْ یَحْزَنُوْنَ. অর্থাৎ তোমরা পৃথিবীতে নেমে যাও, এরপর আমার পক্ষ থেকে যদি তোমাদের নিকট হেদায়েত ও পথনির্দেশ আসে তো যারা এই পথনির্দেশ অনুসরণ করবে তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্তও হবে না। ** সূরা বাকারা (২) : ৩৮
  • আল্লাহ তাআলা হযরত আদম আ.-এর মাধ্যমে হেদায়েত পাঠানোর ধারা শুরু করেছিলেন। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে সেই ধারাকে পূর্ণাঙ্গ ও সমাপ্ত করেছেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামের জীবনের শেষ দিকে বিদায় হজ্বের সময় আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এই আয়াত নাযিল হয়েছে- اَلْیَوْمَ اَكْمَلْتُ لَكُمْ دِیْنَكُمْ وَ اَتْمَمْتُ عَلَیْكُمْ نِعْمَتِیْ وَ رَضِیْتُ لَكُمُ الْاِسْلَامَ دِیْنًا. আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে সম্পূর্ণ করলাম। তোমাদের উপর আমার নিআমতকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম। এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।
    • সূরা মায়েদা (৫) : ৩

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা