সুবর্ণা মুস্তাফা

বাংলাদেশী অভিনেত্রী

সুবর্ণা মুস্তাফা (জন্ম ২ ডিসেম্বর ১৯৬০) হলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী, প্রযোজক ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য। তিনি অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার কন্যা এবং ক্যামেলিয়া মোস্তফার বোন। ১৯৮০-এর দশকে তিনি বাংলাদেশের অন্যতম দর্শকপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বিশেষ করে আফজাল হোসেন এবং হুমায়ুন ফরীদির সাথে তার জুটি ব্যাপক দর্শক সমাদর লাভ করে। এছাড়া তিনি হুমায়ূন আহমেদের লেখা কোথাও কেউ নেই ও আজ রবিবার টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। টেলিভিশন নাটকের পাশাপাশি তিনি ২২ বছর মঞ্চে অভিনয় করেন।

উক্তি সম্পাদনা

  • আমার জীবনে অভিনয়টাই বেশি প্রিয়। অভিনয় করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এই কাজটি সারাজীবন ধরে করে আসছি।
  • ছবির পেছনে যে বাড়িটা, এটাতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাবা। যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, সেই উঠোনে বাবা খেলাধুলা করতেন। শুনেছি খুব ছোটবেলায় বাবা এখান থেকে চলে যান। এরপর আর কখনোই আসেননি। চাচারা আসতেন। একটু মিশ্র আবেগ কাজ করেছে। দাদার কবরটা দেখলাম। এই অনুভূতি আসলে ব্যাখ্যা করা খুবই জটিল।
    • গহীন বালুচর সিনেমার শুটিংয়ে বাবার ভিটায় প্রথম আলো
  • রাজনীতি আসলে আমার জন্য নতুন একটা ক্ষেত্র। তবে রাজনীতির মূল যে উদ্দেশ্য সেটা নতুন নয়। আমি চেষ্টা করব, আমার জায়গা থেকে মানুষের পাশে থাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার। আর আমার এই কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষকেও পাশে পাব বলে বিশ্বাস রাখি। আমি রাজনীতি বলতে যা বুঝি সেটা হচ্ছে মানুষের মঙ্গল। আশা রাখি আমাকে যে দায়িত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তা নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাব।

সাংস্কৃতিক কর্মীরা রাজনীতিতে এসেছে এবং জনগণের জন্য কাজ করেছে পৃথিবীতে এমন দৃষ্টান্ত প্রচুর আছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে শিল্পের দরকার আছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রাজনীতিতে এসেছেন এবং তারা নিষ্ঠার সাথে জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।

  • বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না? এখানে সেই নারীটি হিন্দু-মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ বা সে বিবাহিত না বিধবা তা বিষয় নয়। একটি মেয়ে টিপ পরেছে। তিনি একজন শিক্ষক। রিকশা থেকে নামার পর দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার তাকে টিজ করেছে। আর ওই শিক্ষক যখন এর প্রতিবাদ করেছে তখন তার সঙ্গে তুই-তোকারি করা হয়েছে। তাকে অসম্মান করা হয়েছে।
  • এই পুরস্কার আমি আমার দীর্ঘদিনের কর্মজীবনের যারা সাথী তাদেরকেই উৎসর্গ করেছি। আমার সহকর্মী, সহঅভিনেতা, নির্দেশক, রচয়িতা, কলাকৌশলী প্রত্যেকেই এই পুরস্কারের সঙ্গে জড়িত।

এটা আমাদের দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ একটা পুরস্কার। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অ্যাওয়ার্ড। আমি বিশ্বাস করি এটা আমার দীর্ঘ কর্মজীবনেরই একটা প্রতিফলন।

সুবর্ণা মুস্তাফাকে নিয়ে উক্তি সম্পাদনা

  • সুবর্ণা আমার দীর্ঘ দিনের বন্ধু। অসম্ভব প্রিয় বন্ধু তিনি। তার সঙ্গে অনেক বছরের সম্পর্ক। একসঙ্গে মঞ্চ নাটক করেছি আমরা। কাজেই স্মৃতির শেষ নেই। দিনের পর দিন আমরা মঞ্চ নাটক করতে গিয়ে শিল্পের পথে হেঁটেছি, শিল্প ভাবনা বিনিময় করেছি। সবচেয়ে বড় কথা আমার অভিনীত 'ঘুড্ডি' সিনেমার নায়িকাও সুবর্ণা। টেলিভিশনেও অনেক নাটকে একসঙ্গে অভিনয় করেছি। তার মঙ্গল কামনা করি সব সময়। জন্মদিনে তার প্রতি শুভকামনা।
  • সুবর্ণা মুস্তাফা অনেক পাওয়ারফুল অভিনেত্রী। তার প্রতিভার শেষ নেই। অভিনয়ের প্রতি তার ভালোবাসা প্রবল। আমরা অনেকদিন আগে থেকেই অভিনয় করছি। সেই হিসেবেই পরিচয়। তার সঙ্গে অভিনয় করে বুঝেছি এই শিল্পটাকে বেশি বোঝেন এবং খুব ভালোবাসেন। কো-আটিস্ট হিসেবে তার তুলনা নেই।
  • একজন অভিনয়শিল্পীর যত গুণ থাকা দরকার তার সবই আছে সুবর্ণার মধ্যে। তিনি আমার অত্যন্ত কাছের মানুষ। প্রিয় মানুষ তো বটেই। টেলিভিশনে কাজের অভিজ্ঞতা বহু বছরের। অভিনয় দিয়ে নাট্য অঙ্গনকে সমৃদ্ব করেছেন। তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাই। আরও বহুদিন অভিনয় করে যাবেন এটাই চাওয়া।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা