সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী
বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং কাহিনীকার
সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (২৬ আগস্ট ১৯৪৬ - ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩) ছিলেন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং কাহিনীকার। তিনি ১৯৮০ সালের চলচ্চিত্র ঘুড্ডি এর কাহিনী লিখে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার ও ২০২১ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
উক্তি
সম্পাদনা- "বয়স শুধু একটা অজুহাত। এই অজুহাত দেখিয়ে বসে থাকার মানুষ আমি নই। যত দিন বেঁচে থাকব, সিনেমা করে যাব ।"
- প্রথম আলো, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- "চলচ্চিত্রনির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের একটা ব্যর্থতা আমার চোখে ধরা পড়েছিল পুনেতে পড়তে এসে, তার সিনেমা দেখে এবং তাকে খুব কাছ থেকে দেখে। উনি ৪৭-এর দেশভাগকে কখনো র্যাশনাল দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে পারেননি। সবসময় আবেগীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখেছেন। শুধু তিনি নন, এই ধরনের নস্টালজিয়া পুনেতে পড়াকালীন কলকাতার অনেক জ্যেষ্ঠদের ভিতরও আমি দেখেছি। তাদের সবার ভিতর এ রকম একটা নস্টালজিয়া: আহা, আমার সেই নারকেল গাছ, সেই তাল গাছ, সেই পুকুর পাড়! ৪৭-এর আগের সবকিছুই যেন তাদের সোনালি ফ্রেমে বাঁধানো! নিজেদের মধ্যে আবেগ প্রকাশের সময় তারা এ রকম ভিজ্যুয়ালাইজেশন করতেই পারেন, এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু ৪৭ নিয়ে সিনেমা বা অন্য কোনো মহাফেজ তৈরির ক্ষেত্রে ও পূর্ণাঙ্গ গবেষণার পথে এই আবেগ অবশ্যম্ভাবী বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কারণ কোনো একটি বিষয়ে প্রকৃত সত্য খুঁজতে গিয়ে যদি তাতে আবেগ চলে আসে, তাহলে সেখান থেকে পরিপূর্ণ কিছু বের করা যায় না, সম্ভবও নয়।"
- দ্য বিজনেস স্ট্যাণ্ডার্ড, সৈকত দে, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী সম্পর্কে উক্তি
সম্পাদনা- "সালাউদ্দিন জাকীর 'ঘুড্ডি' বাংলাদেশের এমন একটি চলচ্চিত্র যা নির্মাণ প্রকরণের দিক থেকে ফরাসি নবতরঙ্গের মেজাজকে সঙ্গী করেছে, কিন্তু হয়ে উঠেছে শতভাগ দেশীয় চলচ্চিত্র, ছবিটি সমকালীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রবণতাগুলো চিন্তাশীলভাবে ধারণ করেছে, অথচ ছবিটি ক্লান্ত করে না। বিনোদন দেয় এবং সবাইকে মুগ্ধ করে।"
- বেলায়েত হোসেন মামুন (চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সংগঠক),ঢাকাপোস্টডটকম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।