হালাল
ইসলামিক আইনানুযায়ী ব্যবহারযোগ্য বা ভক্ষণযোগ্য বস্তু বা খাবার
হালাল (আরবি: حلال, 'অনুমোদনযোগ্য') মানে হল যে কোনো বস্তুর বা কর্ম যেটা ইসলামী আইন অনুযায়ী ব্যবহার বা নিয়োজিত করা যাবে। হালাল শব্দটি খাদ্য-পানীয়-র সাথে দৈনন্দিন জীবনের সব বিষয়টাও বোঝায় ও মনোনীত করে। এটি ৫টি আহকাম-র মধ্যে ১টি — ফরজ (আবশ্যিক), মুস্তাহাব (প্রস্তাবিত), হালাল (অনুমোদনযোগ্য), মাকরুহ (অপছন্দ), হারাম (নিষিদ্ধ) — ইসলামে মানুষের কর্ম নৈতিকতা নির্ধারণ করে। ইসলাম ধর্মে মুবাহ-ও "অনুমোদনযোগ্য" বা "অনুমোদিত" অর্থ বোঝায়। সাম্প্রতিক সময়ে, জনসাধারণকে একত্রিত করার চেষ্টা করা ইসলামী আন্দোলন এবং জনপ্রিয় দর্শকের পক্ষে লেখক হালাল ও হারামের সহজ পার্থক্যের উপর জোর দিয়েছেন।
উক্তি
সম্পাদনা- আল্লাহ তোমাদের হালাল ও পবিত্র যে রিজিক (জীবনোপকরণ) দান করেছেন, তা থেকে তোমরা আহার করো এবং আল্লাহর অনুগ্রহের কৃতজ্ঞতা আদায় করো, যদি তোমরা শুধু তাঁরই ইবাদত করো।
- সুরা : নাহল, আয়াত : ১১৪
- হে মু’মিনগণ! আমার দেয়া পবিত্র বস্তুগুলো খেতে থাক এবং আল্লাহর উদ্দেশে শোকর করতে থাক, যদি তোমরা তাঁরই ‘ইবাদত করে থাক।
- সুরা বাকারা : আয়াত: ১৭২
- তোমাদের উপার্জিত পবিত্র বস্তু থেকে আহার করো।’
- সুরা বাকারা : আয়াত ২৬৭
- পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর এবং সৎ কর্মশীল হও। তোমরা যা করছ আমি তা জানি।’
- সুরা মুমিনুন : আয়াত ৫১
- আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।’
- সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৫
- তোমাদের জিহ্বা মিথ্যারোপ করে বলে আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করার জন্য তোমরা বোলো না এটা হালাল এবং এটা হারাম। ’
- সুরা নাহল, আয়াত : ১১৬
- যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করেছে এবং তা মুখস্থ রেখেছে আর এর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম মেনেছে, তাকে আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
- সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৯০৬
- হে মুমিনরা, আল্লাহ তোমাদের জন্য উত্কৃষ্ট যেসব বস্তু হালাল করেছেন, সেসবকে তোমরা হারাম কোরো না এবং সীমা লঙ্ঘন কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।
- সুরা মায়িদা, আয়াত : ৮৭
- হে রাসুলগণ! তোমরা হালাল পবিত্র উত্তম রিজিক খাও আর সৎকর্ম করো।’
- (সুরা-২৩ মুমিনুন, আয়াত: ৫১)
- হে মুমিনগণ! তোমরা হালাল উত্তম রিজিক আহার করো, যা আমি তোমাদের দিয়েছি।’
- (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৭২)।
হাদিস
সম্পাদনা- ‘হালাল জীবিকা সন্ধান করা নির্ধারিত ফরজসমূহের পরে বিশেষ একটি ফরজ।’
- শুআবুল ইমান, বায়হাকি; কানযুল উম্মাল: ৯২০৩
- ‘সকল মুসলিম নারী ও পুরুষের ওপর হালাল উপার্জন ফরজ।
- জামিউল আখবার: ১০৭৯
- ‘হালাল উপার্জন একটি জিহাদ।
- কানযুল উম্মাল: ৯২০৫
- ‘যে ব্যক্তি স্বহস্তে উপার্জিত হালাল রিজিক আহার করল, সে বিদ্যুৎগতিতে পুলসিরাত পার হয়ে যাবে।’
- জামিউল আখবার: ৩৯০
- ‘যে ব্যক্তি স্বহস্তে পরিশ্রম করে জীবিকা উপার্জন করে জীবন ধারণ করে, আল্লাহ তার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকান এবং তাকে কখনো শাস্তি দেবেন না।’
- জামিউল আখবার: ১০৮৫
- যে ব্যক্তি স্বহস্তে পরিশ্রম করে হালাল রিজিক আহার করল, তার জন্য জান্নাতের দরজাগুলো খোলা থাকবে, সে যেখান দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে।
- জামিউল আখবার: ১০৮৭
- যে ব্যক্তি স্বহস্তে পরিশ্রম করে জীবিকা অর্জন করল, কিয়ামতের দিন সে নবীগণের সঙ্গে শামিল হবে এবং অনুরূপ পুণ্য লাভ করবে।
- জামিউল আখবার: ১০৮৮
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় হালাল সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে হালাল শব্দটি খুঁজুন।