হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঙালি কবি
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (১৭ এপ্রিল, ১৮৩৮ - ২৪ মে, ১৯০৩) একজন দেশপ্রেমিক কবি হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। আইনজীবী হিসাবেও তার খ্যাতি ছিল। তিনি হিন্দু কলেজের ছাত্র এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ছিলেন। মধুসূদনের পরবর্তী কাব্য রচয়িতাদের মধ্যে ইনি খ্যাতিমান ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনিই প্রথম জাতীয় কবি যিনি সমগ্র স্বাধীন ভারতের এক সংহতিপূর্ণ চিত্র দেখেছিলেন। হেমচন্দ্রের প্রথম কাব্য চিন্তাতরঙ্গিনী। তার সর্বাধিক প্রসিদ্ধ রচনা বৃত্রসংহার কাব্য। এই কাব্যগ্রন্থে তিনি পৌরাণিক কাহিনীর সাহায্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আহ্বান জানিয়েছিলেন।
উক্তি
সম্পাদনাজীবন সঙ্গীত
সম্পাদনা- দিন যায় ক্ষণ যায় সময় কাহারো নয়
বেগে ধায় নাহি রয় স্থির;
হয় সম্পদ বল্ সকলি ঘুচায় কাল
আয়ু যেন শৈবালের নীর। - করো না মানবগণ বৃথা ক্ষয় এ জীবন
সংসার-সমরাঙ্গন মাঝে;
সংকল্প করেছ যাহা, সাধন করহ তাহা
রত হয়ে নিজ নিজ কাজে। - মহাজ্ঞানী মহাজন যে পথে করে গমন
হয়েছেন প্রাতঃ স্মরণীয়,
সেই পথ লক্ষ্য করে স্বীয় কীর্ত্তি ধ্বজা ধরে
আমরাও হবো বরণীয়।
অন্যান্য
সম্পাদনা- জীবন এমন ভ্রম আগে কে জানিত রে।
হয়ে এত লালায়িত কে ইহা যাচিত রে।
প্রভাতে অরুণোদয়, প্রফুল্ল যেমন হয়,
মনোহরা বসুন্ধরা কুহেলিকা আঁধারে।
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে উক্তি
সম্পাদনা- রবীন্দ্রের অভ্যুদয়ের পূর্ব্বে হেমচন্দ্র বঙ্গের শ্রেষ্ঠ কবি ছিলেন। তাঁহার জ্বলন্ত স্বদেশপ্রীতি, নারীজাতির প্রতি তাঁহার শ্রদ্ধাপূর্ণ অকপট সহানুভূতি, দেশাচারের প্রতি ঘৃণা ও ধিক্কার, জাতীয় পরাধীনতায় ক্লেশ ও লজ্জাবোধ—এ সকল তাঁহার মত তেজস্বিতা সহৃদয়তার সহিত তাঁহার পূর্ব্বে কেহ প্রকাশ করিতে পারেন নাই।
- হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কামিনী রায়।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।