আবু বকর
ইসলামের প্রথম খলিফা এবং ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর সঙ্গী।
(-হযরত আবু বকর (রাঃ) থেকে পুনর্নির্দেশিত)
আবু বকর (জন্ম: ২৭ অক্টোবর ৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দ — মৃত্যু: ২৩ আগস্ট ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন মুহাম্মাদের একজন প্রধান সাহাবি, ইসলামের প্রথম খলিফা এবং প্রথম মুসলিমদের মধ্যে অন্যতম। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণের সম্মান তাকে দেওয়া হয়। এছাড়া তিনি রাসুল মুহাম্মাদের শ্বশুর ছিলেন।রাসুল মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর তিনি খলিফা হন এবং মুসলিমদের নেতৃত্ব দেন। মুহাম্মাদের প্রতি অতুলনীয় বিশ্বাসের জন্য তাকে “সিদ্দিক” বা বিশ্বস্ত উপাধি প্রদান করা হয়েছে। মিরাজের ঘটনা এক ব্যক্তির নিকট শুনে বিশ্বাস করেছিলেন। তাই তাকে আবু বকর সিদ্দিক নামে সম্বোধন করা হয়।
উক্তি
সম্পাদনা- হে লোকসকল, আমাকে তোমাদের উপর কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমি তোমাদের সর্বোত্তম নই। সুতরাং যদি আমি সঠিক কাজ করি তবে আমাকে সাহায্য কর এবং যদি আমি ভুল করি তবে আমাকে সংশোধন করে দিও। সততা একটি পবিত্র আমানত এবং মিথ্যা হচ্ছে বিশ্বাসঘাতকতা। তোমাদের দুর্বলরা ততক্ষণ পর্যন্ত সবল যতক্ষণ পযন্ত আমি তাকে তার অধিকার আদায় করে দেই ইনশাআল্লাহ এবং তোমাদের শক্তিশালীরা ততক্ষণ পর্যন্ত দুর্বল যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তাদের কাছে থেকে পাওনা আদায় করে দেই ইনশাআল্লাহ। কোনো জাতি জিহাদ ত্যাগ করলে আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত না করে ছাড়বেন না। না কোনো জাতির মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়বে আর আল্লাহ তাকে পরীক্ষায় ফেলবেন না। আমাকে ততক্ষণ মেনে চল যতক্ষণ আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মেনে চলি এবং যদি আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মেনে না চলি, তাহলে আমার প্রতি তোমাদের আনুগত্যের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সালাতের জন্য দাঁড়াও। আল্লাহ তোমাদের উপর রহম করুন।
- খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর।
- যে লোক পরকালের জন্য এ দুনিয়াকে একেবারে ছেড়ে দেয়, সে লোক উত্তম নয়। বরং উত্তম সে লোক যে লোক দুনিয়া এবং আখিরাত উভয়টির হক্ব রক্ষা করে চলে।
- আমরা তাকওয়ার মধ্যে বুজুর্গী পেয়েছি, বিশ্বাসের মধ্যে অমুখাপেক্ষীতা পেয়েছি। বিনয়ের মধ্যে মান—সম্মান পেয়েছি। যখন মানুষ দুনিয়ার কোনও বিষয়ের ওপর আসক্ত হয়ে পড়ে, তখন আল্লাহ তায়ালা তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। যখন সে এই কাজ বা বিষয় থেকে দূরে সরে আসে তখন আল্লাহ তায়ালা তার ওপর সন্তুষ্ট হন।
- মাওয়ায়েজে সাহাবা (সাহাবিদের অনুপম কথামালা) লেখক: সালেহ আহমেদ শামী, সূত্র ঢাকা পোস্ট
- মৃত্যুকে খুঁজো (অর্থাৎ, সাহসী হও) তাহলে তোমাদেরকে জীবন দান করা হবে।
- হযরত আবু বকর (রাঃ), [লা তাহযান – ড আইয আল কারনি, পৃ ১৫০] উদ্ধৃত: বাণী
- পরীক্ষার মুখোমুখি হয়ে সবর করার চেয়ে পরীক্ষা থেকে সুরক্ষিত থেকে কৃতজ্ঞ হওয়া আমার কাছে বেশি পছন্দের।
- হযরত আবু বকর (রাঃ), ইবনে বাত্তাল, ড বিলাল ফিলিপস – সূরা বুরুজ তাফসির উৎস: হযরত আবু বকর (রা.) এর গুরুত্বপূর্ণ বাণী
- আমি তোমার উপর কর্তৃত্ব পেয়েছি, এবং আমি তোমাদের মধ্যে সেরা নই। আমি যদি ভাল করি, আমাকে সাহায্য করুন; আর আমি যদি অন্যায় করি, তাহলে আমাকে ঠিক করিয়ে দিন। সত্যের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা হল আনুগত্য এবং সত্যের প্রতি অবজ্ঞা বিশ্বাসঘাতকতা। তোমাদের মধ্যে দুর্বলরা আমার সাথে দৃঢ় থাকবে যতক্ষণ না আমি তার অধিকার অর্জন করি, যদি আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন; আর তোমাদের মধ্যে যারা শক্তিশালী তারা আমার প্রতি দুর্বল হবে যতক্ষণ না আমি তার কাছ থেকে অন্যদের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছি, যদি আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন। যতক্ষণ আমি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করি ততক্ষণ আমার আনুগত্য কর। কিন্তু আমি যদি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অবাধ্য তা হলে তোমরা আমার কাছে কোন আনুগত্যের ঋণী নও। তোমার প্রার্থনার জন্য উত্থাপিত হও,আল্লাহ্ তোমার প্রতি করুণা করুন।
- খলিফার দায়িত্ব পাবার পর দেয়া বাণী ,আল-বিদাইয়াহ ওয়ান-নিহাইয়াহ ৬:৩০৫, ৩০৬ উৎস
- আল্লাহর কসম, রাসূলুল্লাহর যুগে উটের যে বাচ্চাটি যাকাত পাঠানো হতো এখন যদি কেউ তা দিতে অস্বীকার করে আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবো।
- হজরত মোহাম্মদের মৃত্যুর পর আবাস ও জুবইয়ান গোত্রদ্বয় যাকাত দিতে অস্বীকৃতি জানানোর প্রেক্ষাপটে। উদ্ধৃত: যাকাত প্রদান
তাঁর সম্পর্কে উক্তি
সম্পাদনা- আমি যাকেই ইসলামের দাওয়াত দিয়েছি একমাত্র আবু বকর ছাড়া প্রত্যেকের মধ্যে কিছু না কিছু দ্বিধার ভাব লক্ষ্য করেছি।
- আবু বকর সম্পর্কে হজরত মোহাম্মদ (সাঃ); উদ্ধৃতঃ ইমাম বাতায়ন
- আমি প্রতিটি মানুষের ইহসান পরিশোধ করেছি। কিন্তু আবু বকরের ইহসানসমূহ এমন যে তা পরিশোধ করতে আমি অক্ষম। তার প্রতিদান আল্লাহ দেবেন। তার অর্থ আমার উপকারে যেমন এসেছে, অন্য কারো অর্থ তেমন আসেনি।
- আবু বকর সম্পর্কে হজরত মোহাম্মদ (সাঃ); উদ্ধৃতঃসাহাবি পরিচিতি
আরও দেখুন
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় আবু বকর সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।