আকাশ

ভূপৃষ্ঠের বাইরের অংশ

আকাশ হলো ভূপৃষ্ঠ থেকে বাইরের দিকে অবস্থিত মহাবিশ্বের অংশবিশেষ। বায়ুমণ্ডল এবং মহাশূন্যও এর অংশ। সাধারণত আকাশ শব্দটি ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে যেকোনো বিন্দু নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এর অর্থ এবং ব্যবহার ভিন্নও হতে পারে। দিনের আলোয় আলোর বিক্ষেপণের কারণে আকাশ নীল দেখায়। আর রাতের বেলায় আকাশকে তারায় পরিপূর্ণ একটি কালো গালিচার মত মনে হয়। দিনের বেলায় মেঘ না থাকলে আকাশে সূর্য দেখা যায়। আর রাতের আকাশে কখনও কখনও গোধূলিলগ্নেও আকাশের কোলে চাঁদের শোভা দেখা যায়। রাতের আকাশে গ্রহ-নক্ষত্রের উপস্থিতি এক স্বপ্নময় পরিবেশ সৃষ্টি করে। মেঘ, রামধনু বা রংধনু, মেরুপ্রভা, বজ্রপাত, উল্কাপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনা আকাশে পরিলক্ষিত হয়।

নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই— লুকোচুরি খেলা -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • সাগর যেথায় লুটিয়ে পড়ে নতুন মেঘের দেশে,
    আকাশ ধোয়া নীল যেখানে সাগর জলে মেশে।
    মেঘের শিশু ঘুমায় সেথা আকাশ-দোলায় শুয়ে,
    ভোরের রবি জাগায় তারে সোনার কাঠি ছুঁয়ে।
    • সাগর যেথায় - সুকুমার রায়, সুকুমার সমগ্র রচনাবলী- প্রথম খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী, কল্যাণী কার্লেকর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৫০
  • যাত্রায় যেমন সং, আকাশে তেমনি ধূমকেতু। আকাশের গ্রহ নক্ষত্রগুলির সকলেরই এক একটা নিয়মিত কাজ আছে; কিন্তু ধূমকেতুগুলিকে দেখিলে হঠাৎ মনে হইতে পারে, যে ইহাদের কোন বাঁধা কাজ নাই। কোথায় যায় কোথায় থাকে তাহার ঠিক নাই, খালি মাঝে মাঝে এক একবার লেজ পরিয়া আসিয়া, দিন কয়েক তামাসা দেখাইয়া যায়।
    • উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, প্রকাশক- বসাক বুক স্টোর প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রকাশসাল ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৯৭-৮৯৮

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা