মেঘ
দৃশ্যমান জলকণা বা হিমায়িত বরফের স্ফটিক যা পৃথিবীর পৃষ্ঠের উপরে বায়ুমণ্ডলে ভাসমান অবস্থায় থ
মেঘ হলো দৃশ্যমান জলকণা বা হিমায়িত বরফের স্ফটিক যা পৃথিবীর পৃষ্ঠের উপরে বায়ুমণ্ডলে ভাসমান অবস্থায় থাকে। মেঘের জলকণা যখন যথেষ্ট ঘনীভূত হয়, তখন তা বৃষ্টি হয়ে পড়ে। মেঘে যদি জলকণার পরিমাণ কম থাকে তখন সাদা দেখায়, আর যদি জলকণার পরিমাণ বেশি থাকে তখন মেঘ কালো দেখায়। অবস্থান অনুযায়ী মেঘ তিন প্রকার: উচু মেঘ, মাঝারি মেঘ ও নীচু মেঘ। আবার প্রাথমিক আকৃতি অনুযায়ীও তিন প্রকারের মেঘ দেখা যায়। সেগুলি হলো গুচ্ছ মেঘ, স্তূপ মেঘ ও স্তর মেঘ। এই তিনটি প্রাথমিক আকৃতির মেঘের পারস্পরিক সম্বন্ধে অন্যান্য মেঘের নামকরণ করা হয়েছে।
উক্তি
সম্পাদনা- বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর,
আউশের খেত জলে ভরভর,
কালিমাখা মেঘে ওপারে আঁধার
ঘনিয়েছে, দেখ্ চাহি রে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের
বাহিরে॥
- আকাশের ময়দানে বাতাসের ভরে,
ছোট, বড়, সাদা, কালো, কত মেঘ চরে।
কচি কচি থোপা থোপা মেঘেদের ছানা
হেসে খেলে ভেসে যায় মেলে কচি ডানা।
কোথা হতে কোথা যায়, কোন্ তালে চলে,
বাতাসের কানে কানে কত কথা বলে।- সুকুমার রায় (মেঘের খেয়াল)
- ধনসম্পদ মানুষের অন্তর থেকে দয়া এবং প্রেমের বোধকে দূর করে দেয়; এটা এমনই এক মেঘ যা মনের উজ্জ্বল তারাগুলোকে ঢেকে ফেলে।
- মুন্সি প্রেমচাঁদ, ব্যাঙ্ক-দেউলে, প্রেমচন্দ গল্পসংগ্রহ- প্রেমচন্দ, প্রকাশক- পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশসাল- নভেম্বর ২০০১, পৃষ্ঠা ৮০
- মেঘের কোলে গুরু গুরু
গ’র্জে ওঠে বাজ—
ভাবছি বসে সকাল হতেই
কি করা যায় আজ।
- দিনের আলো নিবে এল, সুয্যি ডোবে ডোবে।
আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে চাঁদের লোভে লোভে।
মেঘের উপর মেঘ করেছে, রঙের উপর রঙ।
মন্দিরেতে কাঁসর ঘণ্টা বাজল ঠঙ্ ঠঙ্।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় মেঘ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে মেঘ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
উইকিঅভিধানে মেঘ শব্দটি খুঁজুন।