আবদুল গফুর হালী

বাংলাদেশী সঙ্গীত রচয়িতা

আবদুল গফুর হালী (জন্ম: ৬ আগস্ট, ১৯২৯- মৃত্যু: ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬) একজন বাংলাদেশী গীতিকার, সুরকার ও লোকশিল্পী। তিনি চট্টগ্রামের চাটগাঁইয়া ভাষায় মাইজভাণ্ডারী, মুর্শিদি, মারফতি প্রভৃতি ধারায় প্রায় দুই হাজারের অধিক গান রচনা করেছেন। ২০১০ সালে তাকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র মেঠোপথের গান

  • "বাউল আর মাইজভান্ডার প্রায় একই তরিকা। বাউলরা সংসার করে না, মাইজভান্ডারেও সংসার করে না অনেকে। তবে মাইজভান্ডারের বেশিরভাগ মানুষ সংসারে বন্দি থেকেই তারা নিজেকে চেনার কাজটি করেন। তুমি তোমাকে চেনো তোমার আল্লাহকে চিনবে-এটা হলো মাইজভান্ডার তরিকার নিয়ম নীতি । আত্না না চিনলে আত্নার উদ্ধার হবে না । নিজেকে চেনার জন্যই লোকে মাইজভান্ডার যায়। মাইজভান্ডারে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান বলে কিছু নাই। যার তকদিরে আছে সে নিজেকে চিনতে পারে "।
    • সাক্ষাৎকার, সোমেশ্বর অলি, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬।
  • "উঠানে বসে গান হতো। আমাদের চট্টগ্রামে এটাকে নাট্যপুয়ার গান বলে। আমি গানের পোকা ছিলাম। আর বিশেষ করে, সিনেমার পোকা বেশি ছিলাম। তখন সিনেমা খুব মিষ্টি একটা জিনিস ছিল। তখন আমি এই সিনেমার গান শুনে শুনে হুবহু করে করে গাইতাম। গাইতে গাইতে আমি শিল্পী হয়ে গেলাম"।
    • গফুর হালীকে মনে রাখেনি কেউ, প্রথম আলো, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯।
  • "আমি আমারে বেইচা দিছি

মাইজভান্ডারে যাই রে/ আমার কিছু নাই / আমার কিছু নাই রে / আমার কিছু নাই।। গিয়েছিলাম প্রেম-বাজারে প্রম রতন কিনিবারে/ কিনতে যাইয়া আসিয়াছি নিজেরে বিকাই রে।। "

    • দিওয়ানে মাইজভান্ডারি, গফুর হালী রচিত গীতিকাব্য ।

আবদুল গফুর হালী সম্পর্কে উক্তি

সম্পাদনা
  • " কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই সংগীত সাধনার মাধ্যমে আবদুল গফুর হালী অসামান্য জ্ঞানের অধিকারী হয়েছেন। বর্তমানে জনপ্রিয় সঙ্গীতধারা মোহছেন আউলিয়ার গান তাঁর সৃষ্টি । গফুর হালী হলেন প্রকৃতির সন্তান। তাঁর প্রতিটি গান যেন ভালোবাসার অলৌকিক শিল্প ।"
    • 'আবদুল গফুর হালীঃ জীবন ও কর্ম', অমর একুশে ২০১৭ , নাসির উদ্দিন হায়দার, সাংবাদিক ও চট্টগ্রামের লোকসংগীত গবেষক,

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা