ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী

বাঙালি লেখিকা

ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী (২৯ ডিসেম্বর ১৮৭৩ - ১২ আগস্ট ১৯৬০) ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী, লেখক ও অনুবাদক। ঠাকুরবাড়ির মেয়েদের মধ্যে তিনিই প্রথম বি.এ পাশ করেন। ১৮৯২ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করে ‘পদ্মাবতী’ স্বর্ণপদক পান। অনুবাদক হিসেবে ইন্দিরা দেবী অল্পবয়সেই খ্যাতি অর্জন করেন। কৈশোরে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরিচালিত ও মাতা জ্ঞানদানন্দিনী সম্পাদিত বালক পত্রিকায় রাস্কিনের রচনার বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহু কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধসহ জাপানযাত্রীর ডায়রী-র ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। পরবর্তীকালে বামাবোধিনী, বঙ্গলক্ষ্মী, সাধনা, পরিচয়, সবুজপত্র প্রভৃতি পত্রিকায় সঙ্গীত ও সাহিত্যবিষয়ে তার অনেক মৌলিক রচনা প্রকাশিত হয়। ইন্দিরা দেবীর কয়েকটি মৌলিক রচনা হলো:-শ্রুতি স্মৃতি, রবীন্দ্রসঙ্গীতে ত্রিবেণী সঙ্গম (১৯৫৪), রবীন্দ্রস্মৃতি (৫ খন্ড, ১৯৫৯)। তার সম্পাদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে নারীর উক্তি (১৯২০), বাংলার স্ত্রী-আচার (১৯৫৬), স্মৃতিকথা, পুরাতনী (১৯৫৭), গীতপঞ্চশতী প্রভৃতি।

বাল্মীকিপ্রতিভা নাটকের অভিনয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ইন্দিরা দেবী

উক্তি সম্পাদনা

  • জ্ঞান ও প্রেম উভয়ই আমাদের মনুষ্যজীবনে সাধনার বস্তু। প্রেম প্রথম স্তর। প্রেম মানুষকে জ্ঞানেতে পৌঁছাইয়া দেয়। প্রেম প্লাবন আনে, সেই প্লাবনে হৃদয়ের সঙ্কীর্ণতা ও পাপ মলিনতা ধুইয়া হৃদয়কে পবিত্র করে ও জ্ঞানসাগরে মিশিয়া যায়।
    • আমার খাতা - ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী, প্রকাশক-শ্রীব্রজেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯১২ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৮
  • শরীরমনের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ, এবং উভয়েরই স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য আছে। এক দিকে অতিমাত্রায় উৎকর্ষ সাধন করিতে গেলে, অপর দিকে ক্ষতির সম্ভাবনা। স্বাস্থ্য মানে সামঞ্জস্য, এবং সামঞ্জস্যই নারীজীবনের মৃলমন্ত্র। তাহার সব শিক্ষাদীক্ষা যাহাতে সেই সাম্যকে অতিক্রম না করে ও একটি সহজ শ্রীর গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকে, তাহাই বাঞ্ছনীয়।
    • নারীর উক্তি - ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী, বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ (চৈত্র ১৩৮০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৫-১৬

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

 
উইকিসংকলন
উইকিসংকলনে এই লেখক রচিত অথবা লেখক সম্পর্কিত রচনা রয়েছে: