জ্ঞান

তথ্য সম্পর্কে সচেতনতা বা যোগ্য হওয়া

জ্ঞান বলতে কোন বিষয় সম্পর্কে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা থাকাকে বুঝায়। দর্শনশাস্ত্রে জ্ঞান নিয়ে যে আলোচনা হয় তাকে জ্ঞানতত্ত্ব বলে। দার্শনিক প্লেটো জ্ঞানকে প্রতিষ্ঠানিক ভাবে সংজ্ঞায়িত করেন "প্রমাণিত সত্য বিশ্বাস" বলে। যদিও এই সংজ্ঞাটি সকলের কাছে সমর্থিত নয়। জ্ঞান অর্জনের সাথে কিছু জটিল মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া জড়িত। সেগুলি হলো উপলব্ধি, সংযোগ এবং যুক্তি। অনেকে সম্মত হবে যে, জ্ঞান হস্তান্তরের জন্য সবচেয়ে সার্বজনীন এবং উল্লেখযোগ্য সরঞ্জাম হল লেখা ও পড়া। জ্ঞানের বিষয় ও ধরন বিভিন্ন হতে পারে। কয়েকটি উদাহরণ হলো পরিস্থিতিগত জ্ঞান, আংশিক জ্ঞান, বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, ধর্মীয় জ্ঞান প্রভৃতি।

  • জ্ঞানে প্রেমে অনেক প্রভেদ। জ্ঞানে আমাদের ক্ষমতা বাড়ে, প্রেমে আমাদের অধিকার বাড়ে। জ্ঞান শরীরের মত, প্রেম মনের মত। জ্ঞান কুস্তি করিয়া জয়ী হয়, প্রেম সৌন্দর্য্যের দ্বারা জয়ী হয়। জ্ঞানের দ্বারা জানা যায় মাত্র, প্রেমের দ্বারা পাওয়া যায়। জ্ঞানেতেই বৃদ্ধ করিয়া দেয়, প্রেমেতেই যৌবন জিয়াইয়া রাখে। জ্ঞানের অধিকার যাহার উপরে তাহা চঞ্চল, প্রেমের অধিকার যাহার উপরে তাহা ধ্রুব। জ্ঞানীর সুখ আত্মগৌরব-নামক ক্ষমতার সুখ, প্রেমিকের সুখ আত্মবিসর্জ্জন-নামক স্বাধীনতার সুখ।
  • ভুলি ভেদাভেদ-জ্ঞান হও সবে আগুয়ান,
    সাথে আছে ভগবান— হবে জয়।
  • নিজেকে চিনতে পারাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় জ্ঞান।
  • জ্ঞান ও প্রেম উভয়ই আমাদের মনুষ্যজীবনে সাধনার বস্তু। প্রেম প্রথম স্তর। প্রেম মানুষকে জ্ঞানেতে পৌঁছাইয়া দেয়। প্রেম প্লাবন আনে, সেই প্লাবনে হৃদয়ের সঙ্কীর্ণতা ও পাপ মলিনতা ধুইয়া হৃদয়কে পবিত্র করে ও জ্ঞানসাগরে মিশিয়া যায়।
    • ইন্দিরা দেবী, আমার খাতা - ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী, প্রকাশক-শ্রীব্রজেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯১২ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৮

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা