ইমরান খান

পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী ও প্রাক্তন ক্রিকেটার

ইমরান আহমদ খান নিয়াজি (উর্দু: عمران احمد خان نیازی ‎‎) পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক। খেলোয়াড় জীবন শেষে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয় করে। ২০১৮ সালে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল অনাস্থা ভোটে হেরে তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে অপসারিত হন।

কেউ যদি পাকিস্তান থেকে জিহাদ করতে ভারতে যায়... সেই প্রথম কাশ্মীরিদের প্রতি জুলুম করবে, সে হবে কাশ্মীরিদের শত্রু।

উক্তি সম্পাদনা

  • যাই করি না কেন আমি কখনই ইংরেজ হতে পারিনি। একটি গাধার উপর কালো ডোরা আঁকলেই সেটি জেব্রা হয়ে যায়না।
  • এটা (কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়ানো) হচ্ছে জিহাদ। আমরা এটা করছি কারণ আমরা চাই আল্লাহ আমাদের প্রতি খুশি থাকুক, এটা একটা সংগ্রাম এবং দুঃসময়ে সাহস হারাবেন না। হতাশ হবেন না যেহেতু কাশ্মীরিরা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে, পাকিস্তানিরা তাদের পাশে দাঁড়ালে কাশ্মীরিরা জিতবে।
  • যদি একজন মহিলা খুব স্বল্প পোশাক পরে থাকেন তাহলে রোবট না হলে এটি পুরুষদের উপর প্রভাব ফেলবে। এটা কমন সেন্স।
  • আফগানিস্তানে এখন যা ঘটছে তা হলো তারা দাসত্বের শিকল ভেঙে দিয়েছে.... যখন আপনি কারও সংস্কৃতি গ্রহণ করবেন তখন আপনি এটিকে উচ্চতর বলে বিশ্বাস করে শেষ পর্যন্ত এটির দাস হয়ে যাবেন। আপনি অন্য সংস্কৃতি গ্রহণ করে তার মনস্তাত্ত্বিকভাবে অধীন হয়ে যাবেন। দয়া করে মনে রাখবেন যখন এটি হবে তখন এটি হবে প্রকৃত দাসত্বের চেয়েও খারাপ। সাংস্কৃতিক দাসত্বের শৃঙ্খল উচ্ছেদ করা কঠিন।
  • কি একটা সময়ে এলাম – কত উত্তেজনা…
    • ইমরান খান ২০২২-এ ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের সময় রাষ্ট্রপতি পুতিনের সাথে সফরে। রাষ্ট্রপতি পুতিনের সাথে সাক্ষাতের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন হামলার বিষয়ে আলোকপাত করেন”, ব্রিটিশ এশিয়ান খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২: [১]
  • আজ আমাদের বোঝা উচিত পূর্ব পাকিস্তানের লোকদের ওপরে যে এত বড় অত্যাচার হয়েছে। ওদের যে পার্টি নির্বাচনে জিতেছিল, যাকে তারা প্রধানমন্ত্রী বানাতে চেয়েছিল তার বিরুদ্ধে তখন মিলিটারি অ্যাকশন নেওয়া হয়েছিল। তারা মূলত দেশের বিভাজন উস্কে দিয়েছিল। তখন আমি ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়েছিলাম। সেখানে জানতে পারলাম যে, পূর্ব পাকিস্তানে কী হচ্ছে। সে সময় আমাদের ৯০ হাজার সৈন্য কয়েদী হয়েছিল। তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে হলো। কী পরিমাণ ক্ষতি হলো আপনারা চিন্তাও করতে পারবেন না। তখন এসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল বন্ধ কামরায়। যারা সিদ্ধান্ত নিতেন তারা জানতেনই না বাকি পৃথিবী কীভাবে চলে। এসব সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষতি হলো কি না সেটাও তারা কাউকে জানতে দেয়নি।
    • ১৩ মে ২০২৩-এ জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে ইমরান খান, উদ্ধৃত: আরটিভি

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা