কাক

কর্ভিডি গোত্রের অন্তর্গত একজাতীয় পাখি

কাক কর্ভিডি গোত্রের তুলনামূলকভাবে বড় আকারের অতি পরিচিত পাখি। দক্ষিণ আমেরিকা ছাড়া উষ্ণমন্ডলীয় সব মহাদেশ এবং বেশ কিছু দ্বীপে কাকের বিস্তার রয়েছে। এদের দেহ চকচকে কালো রঙের এবং অধিকাংশেরই শক্তিশালী কালো ঠোঁটের গোড়া পালকে ঢাকা। কাক সর্বভুক। এরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও চতুর পাখি। কর্ভাস গণের মধ্যে প্রায় ৪৩টি বিভিন্ন প্রজাতির কাক দেখা যায়। তন্মধ্যে ভারত এবং বাংলাদেশে দাঁড়কাক ও পাতিকাক প্রজাতি বেশি দেখা যায়। বাংলায় কাক বলতে সাধারণত পাতিকাককে বোঝায়।

পাতিকাক

উক্তি সম্পাদনা

  • বিশেষত দাঁড়-কাক, অনেকদিন পর্যন্ত বাঁচে—আশি নব্বই একশো পর্যন্ত পার হয়ে যায়। কাক যে অনেকদিন বাঁচে এই বিশ্বাস লোকের মনে বরাবরই আছে। আমরা ছেলেবেলায় ভূষণ্ডি কাকের কথা শুনেছি— সে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ দেখে বলেছিল “এর চাইতে রামায়ণের যুদ্ধ আর দেবতা অসুরের যুদ্ধটা ভালো হয়েছিল। তখন আমি হাঁ করে কাছে বসে থাকতাম আর আপনা থেকে রক্ত এসে মুখে পড়ত!”
    • উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী- জানোয়ারের বয়স, উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সম্পাদনা- শান্তা শ্রীমানি, প্রকাশক- বসাক বুক স্টোর প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রকাশসাল ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৭২
  • আদা আর কাঁচকলা মেলে কোনদিন সে?
    কোকিলের ডাক শুনে কাক জ্বলে হিংসেয়।
    • সুকুমার রায়- আড়ি, সুকুমার সমগ্র রচনাবলী, প্রথম খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী ও কল্যাণী কার্লেকর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৭১
  • কোথায় যেন করুণ সুরে
    চাতক পাখী ডাকছে দূরে,
    ঘরের চালে ভিড় করেছে
    ঝোড়ো-কাকের দল।
    আবার এলো জল।
    • আবার এলো জল - সুনির্মল বসু, সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা, প্রকাশক- মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৫

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা