বক

পক্ষীশ্রেণীর একটি পরিবার

বক হলো পক্ষীশ্রেণীর একটি পরিবার। আর্ডেইডি গোত্রের অন্তর্গত লম্বা পা বিশিষ্ট মিঠাপানির জলাশয় ও উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী মৎস্যভোজী একদল জলচর পাখিকে বক বলা হয়। পৃথিবীতে প্রায় ৬৪ প্রজাতির বক রয়েছে। সারা বিশ্বে বিভিন্ন প্রজাতির বকের বিস্তৃতি থাকলেও নিরক্ষীয় ও ক্রান্তীয় অঞ্চলে এদের বিস্তৃতি সবচেয়ে বেশি।

একটি হ্রদের সামনে বক
  • হেরে গো ওই আঁধার হল,
    আকাশ ঢাকে মেঘে।
    ও পার হতে দলে দলে
    বকের শ্রেণী উড়ে চলে,
    থেকে থেকে শূন্য মাঠে
    বাতাস ওঠে জেগে।
    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষণিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ (১৪০০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৯২
  • ঝাপ্‌টে ডানা বকের সারি
    আকাশপথে দিচ্ছে পাড়ি;
    ফিরছে নীড়ে বিহগ দলে;
    নৌকা চলে
    নৌকা চলে।
    • সুনির্মল বসু- নৌকা চলে নৌকা চলে, সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা, প্রকাশক- মিত্র ও ঘোষ, প্রকাশসাল-১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ), কলকাতা, পৃষ্ঠা ৪৯
  • কতগুলো বক হাঁটু-জলে নেমে ভারি গম্ভীরভাবে মাছ ধরবার ফন্দি আঁটাছে, একসময় একটি রাজহাঁস উড়ে এসে সেইখানে নামল। বকগুলো তাকে দেখে আশ্চর্য হয়ে বলল, ‘বাঃ চোখ লাল, মুখ লাল, পা লাল, তুমি কে হে?’
    হাঁস বলল, ‘আমি হাঁস।’
    বকেরা বলল, ‘তুমি কোত্থেকে আসছ?’
    হাঁস বলল, ‘মানস সরোবর থেকে।’
    • উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (প্রবাসী পাখি), উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সম্পাদনা- শান্তা শ্রীমানি, প্রকাশক- বসাক বুক স্টোর প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৮৪

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা