কেশবচন্দ্র সেন

ব্রিটিশশাসিত ভারতের একজন বাঙ্গালী ব্রাহ্মনেতা

কেশবচন্দ্র সেন (১৯ নভেম্বর ১৮৩৮ – ৮ জানুয়ারি ১৮৮৪) ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশশাসিত ভারতের একজন বিশিষ্ট বাঙ্গালী ব্রাহ্মনেতা, বক্তা ও বাঙালি হিন্দু সমাজের অন্যতম ধর্মসংস্কারক। ব্রহ্মানন্দ উপাধিতে ভূষিত কেশবচন্দ্র শুধুমাত্র বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। ভারতের জাতীয় চেতনা ও ঐক্যের অন্যতম উন্মেষক ও মুখপাত্র হিসাবেও তিনি কাজ করে গিয়েছেন।

কেশবচন্দ্র সেন
  • যখন নয়ন হইতে প্রেমধারা বহে, তাহার ভিতরে ব্রহ্ম প্রতিবিম্বিত হয়েন, ব্রহ্মের সত্ত্বা প্রতিবিম্বিত হয়।
  • সাধু ছাড়া ঈশ্বর নহেন, ঈশ্বর ছাড়া সাধু নহেন।
  • পা যেমন গরম থাকিলে শরীরে জীবনের লক্ষণ প্রকাশ পায়, তেমনই কার্য্য, চিন্তা, আশা, বিশ্বাস, কথা, ব্রত এ সমুদয়ে উত্তাপ থাকিলে ধর্মজীবনের লক্ষণ প্রকাশ পাইবে।
    • জীবন বেদ - কেশবচন্দ্র সেন, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশক- ব্রাহ্মট্রাষ্ট সোসাইটি, কলিকাতা, প্রকাশসাল- ১৮০৮ শকাব্দ, পৃষ্ঠা ২৫
  • মন পূর্ণ বস্তুকে খণ্ড খণ্ড করে, আবার খণ্ড খণ্ডকে একত্র করিয়া এই মনই সংযোগ করে। আধ্যাত্মিক বিষয় সম্বন্ধেও বিয়োগ ও সংযোগ সর্ব্বদা চলিতেছে। যেমন জড় জগতের বস্তু সকল বিযুক্ত হইয়া পরমাণুতে পরিণত হয়, পরমাণু সকলের সংযোগে বস্তসমূহ গঠিত হয়, মন তেমনই ধর্ম্মরাজ্যে বসিয়া সর্ব্বদা বিয়োগ ও সংযোগক্রিয়া সমাধা করিতেছে।
    • জীবন বেদ - কেশবচন্দ্র সেন, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশক- ব্রাহ্মট্রাষ্ট সোসাইটি, প্রকাশসাল- ১৮০৮ শকাব্দ, পৃষ্ঠা ১২৪

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
 
উইকিসংকলন
উইকিসংকলনে এই লেখক রচিত অথবা লেখক সম্পর্কিত রচনা রয়েছে: