গঙ্গা নদী
গঙ্গা নদী (সংস্কৃত উচ্চারণ: [ˈɡɐŋɡaː]) ভারত ও বাংলাদেশে প্রবাহিত একটি আন্তর্জাতিক নদী। এই নদী ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় নদীও বটে। গঙ্গার দৈর্ঘ্য ২,৭০৪ কিমি (১,৬৮০ মা); উৎসস্থল পশ্চিম হিমালয়ে ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে। দক্ষিণ ও পূর্বে গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গা মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। এক্ষেত্রে এর দুটি ধারা বা শাখা লক্ষনীয়- একটি ফারাক্কা বাঁধ থেকে এসে ভাগীরথী ও হুগলী নদী নামে মূলত দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে; অপরটি বাংলাদেশ সীমান্তে মহানন্দার সঙ্গে মিলিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে পদ্মা নামে গোয়ালন্দ পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে। পদ্মাকে মূলত গঙ্গার প্রধান শাখানদী বলা হয়। তবে ঐতিহাসিক কারণবশত এর অববাহিকাকেও গাঙ্গেয় বদ্বীপের অন্তর্গত বিবেচনা করা হয়। জলপ্রবাহের ক্ষমতা অনুযায়ী গঙ্গা বিশ্বের প্রথম ২০টি নদীর একটি। গাঙ্গেয় অববাহিকার জনসংখ্যা ৪০ কোটি এবং জনঘনত্ব ১,০০০ জন/বর্গমাইল (৩৯০/কিমি২)। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল নদী অববাহিকা।
উক্তি
সম্পাদনা- গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা।
ও আমার দুই চোখে দুই জলের ধারা—
মেঘনা-যমুনা।
গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা।- ভূপেন হাজারিকা। "গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা" গানের অংশ।
- বাংলা আমার মাতৃভাষা
বাংলা জন্মভূমি।
গঙ্গা পদ্মা যাচ্ছে ব'য়ে,
যাহার চরণ চুমি।
ব্রহ্মপুত্র গেয়ে বেড়ায়,
যাহার পূণ্য-গাথা!
সেই-সে আমার জন্মভূমি,
সেই সে আমার মাতা!- কায়কোবাদ। "বঙ্গভূমি ও বঙ্গভাষা" কবিতার অংশ।
- ভরা গঙ্গার উপরে শরৎ প্রভাতের যে রৌদ্র পড়িয়াছে তাহা কাঁচা সোনার মত রং, চাঁপা ফুলের মত রং, রৌদ্রের এমন রং আর কোন সময় দেখা যায় না। চড়ার উপরে কাশবনের উপরে রৌদ্র পড়িয়াছে।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। "ঘাটের কথা" গল্প থেকে [১]