চিত্তরঞ্জন দাশ
বাঙালি রাজনীতিবিদ
চিত্তরঞ্জন দাশ বা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ (৫ নভেম্বর ১৮৭০ - ১৬ জুন ১৯২৫) হলেন একজন বাঙালি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রামী, কবি ও লেখক। তিনি কলকাতার এক উচ্চ মধ্যবিত্ত বৈদ্যব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ভুবন মোহন দাশ কলকাতা হাইকোর্টের সলিসিটার ছিলেন। দেশবন্ধু ছিলেন স্বরাজ্য পার্টি-র প্রতিষ্ঠাতা।
উক্তি
সম্পাদনা- ‘বন্দে মাতরম্'—সুজলা সুফলা নদীবহুলা এই আমার মাতৃভূমিকে বার বার বন্দনা করি! জননী আমাদের যে বাণী দিয়াছেন, মাতৃকণ্ঠেব সেই গীৰ্ব্বাণী —সেই মা ধ্বনি, পবনে গগনে ধ্বনিত হইয়া পদ্মার পারে যেন সেই বাণী দুলিতে থাকে, মাও যেন প্রাণমন ভরিয়া সন্তানের এ বাণী শুনিয়া আকুল হন।
- দেশের কথা, দেশবন্ধু গ্রন্থাবলী - চিত্তরঞ্জন দাশ, প্রকাশক- বসুমতী সাহিত্য মন্দির, কলকাতা, ১৯২০ সাল, পৃষ্ঠা ১২৪
- আমার কাছে এই নব আন্দোলন (স্বদেশী আন্দোলন) যে যে কারণে বাঞ্ছনীয় তাহার মধ্যে সর্বপ্রধান কারণ এই যে ইহা মূলতঃ বাঙালী জাতির আত্মনির্ভরভার পথে প্রথম পদক্ষেপ। এক কারণেই আমার ধ্রুব ধারণা যে, এই আন্দোলনের সফলতার উপরেই আমাদের জাতীয় উন্নতির আশা নির্ভর করিতেছে। জগতের ইতিহাস বারেবারে সপ্রমাণ করিয়া দিয়াছে যে এক জাতিকে অন্য কোন জাতি হাতে তুলিয়া কিছু দিতে পারে না। সহস্র বৎসর ধরিয়া অন্য জাতির মুখাপেক্ষী হইয়া থাকিলে প্রকৃত মুক্তির পথ কখনও মিলিবে না।
- ১৯০৬ সালে দার্জিলিং এ চিত্তরঞ্জন দাশ এটি বলেছিলেন। "দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের জীবন-বেদ", প্রকাশক - অ্যাল্ফা-বিটা পাবলিকেশন্স, কলকাতা, প্রকাশকাল - ১৯৬১, পৃষ্ঠা ৮৬
- যে দেশেই যাই না কেন, যত বিদেশেই ঘুরিয়া বেড়াই না কেন, যখনই মনে করি আমি বিক্রমপুরবাসী তখনই প্রাণে প্রাণে একটা গর্ব অনুভব করি । বিক্রমপুর যে আমার শরীরের শিরায় শিরায় অস্থিমজ্জাগত।
- ১৯১৬ খ্রীষ্টাব্ধের ডিসেম্বরের ডোমসার অভিভাষণে চিত্তরঞ্জন দাশ এটি বলেছিলেন। "দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের জীবন-বেদ", প্রকাশক - অ্যাল্ফা-বিটা পাবলিকেশন্স, কলকাতা, প্রকাশকাল - ১৯৬১ , পৃষ্ঠা ৯-১০
চিত্তরঞ্জন দাশকে নিয়ে উক্তি
সম্পাদনা- এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ।
মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান৷৷- চিত্তরঞ্জন দাশ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- দেশবন্ধু তাঁহার স্বদেশ-প্রেমের মধ্যে বাঙ্গালীকে ভুলিয়া যাইতেন না। অথবা বাঙ্গলাকে ভালবাসিতে গিয়া স্বদেশকে ভুলিতেন না। তিনি বাঙ্গলাকে ভালবাসিতেন প্রাণ দিয়া, কিন্তু তাঁহার ভালবাসা বাঙ্গলার চতুঃসীমার মধ্যে আবদ্ধ ছিল না। বাঙ্গলার বাহিরে তাঁহার যে সকল সহকর্ম্মী ছিলেন তাঁহাদের নিকট শুনিয়াছি যে, দেশবন্ধুর সংস্পর্শে আসিবার অল্পদিনের মধ্যেই তাঁহারা তাঁহার হৃদয়ের দ্বারা আকৃষ্ট হইয়াছিলেন।
- চিত্তরঞ্জন দাশ সম্পর্কে সুভাষচন্দ্র বসু। তরুণের স্বপ্ন- সুভাষচন্দ্র বসু, তৃতীয় সংস্করণ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ (১৩৪৫ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১২৯
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় চিত্তরঞ্জন দাশ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিসংকলনে চিত্তরঞ্জন দাশ রচিত অথবা সম্পর্কিত রচনা রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে চিত্তরঞ্জন দাশ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।