জসীম উদ্দীন
বাংলাদেশী কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক
জসীম উদ্দীন (১ জানুয়ারি ১৯০৩ - ১৪ মার্চ ১৯৭৬) একজন বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক। 'পল্লীকবি' উপাধিতে ভূষিত, জসীম উদ্দীন আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে লালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ আধুনিক কবি।
উক্তি
সম্পাদনা- সখী দীন দুঃখীর যারে ছাড়া কেহ নাই
সেই আল্লার হাতে আজি আমি তোমারে সঁপিয়া যাই।
মাকড়ের আঁশে হস্তী যে বাঁধে, পাথর ভাসায় জলে
তোমারে আজিকে সঁপিয়া গেলাম তাঁহার চরণতলে।
- নকশী কাঁথার মাঠ
- আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা, আমি বাধি তার ঘর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।- প্রতিদান
- তারপর এই শূন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি
যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।- কবর
- ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবীরের
রাগে অমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড়
সাধ আজ জাগে।
- আমাদের দেশের লোকেরা যেমন ভুত, প্রেত, ওঝা পীর ও ফকিরে বিশ্বাস করে তেমনি হোমিওপ্যাথিক ঔষধে বিশ্বাস করে। এ দেশের লোক সব সময়ই কিছু বিশ্বাস করিবার জন্য প্রস্তুত হইয়া থাকে। যাহারা হোমিওপ্যাথিকে বিশ্বাস করে তাহারা বন্ধু সমাবেশে এই ঔষধের কার্যকারিতা সম্বন্ধে এমন সব রোমাঞ্চকর কাহিনী বানাইয়া বলে যে শ্রোতাদের মধ্যে কেউ যদি তাহা অবিশ্বাস করিতে চায়, তাহার পক্ষে সেখানে তিষ্ঠান দায় হইয়া পড়ে। সে গল্প যাহারা শোনে তাহারা আবার তাহাতে আরও কিছু রঙ চড়াইয়া অপরের কাছে বলে।
জসীম উদ্দীন সম্পর্কে উক্তি
সম্পাদনা- আমি হিন্দু, বেদ আমার নিকট পবিত্র।কিন্তু জসীমউদ্দীনের কবিতা বেদের চাইতেও আমার নিকট পবিত্র। কারণ জসীমউদ্দীন আমার স্বর্গাদপি গরীয়সী পল্লী গ্রামের কথা তাঁর কাব্যে লিখেছেন।
- এই দেখো না কবি জসীমউদদীন। আমি তাঁর থেকে অনেক বেশি লেখাপড়া জানি। কিন্তু তাঁর ঐ 'সুজন বাদিয়ার ঘাট' এর মতো দু'লাইন কবিতা আমার পেটে বোম মারলেও আমি লিখতে পারব না। জসিমউদদীন একজন প্রকৃতই কবি। তাঁর কোন কিছুই ধার করা নয়। আর ওর মতো সরল লোক আমি খুব কম দেখেছি।
- সৈয়দ মুজতবা আলী[উৎস প্রয়োজন]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় জসীম উদ্দীন সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে জসীম উদ্দীন সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।