দীনেশচন্দ্র সেন

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচনাকার

দীনেশচন্দ্র সেন (৩ নভেম্বর,১৮৬৬- ২০ নভেম্বর,১৯৩৯) শিক্ষাবিদ, গবেষক, লোক-সাহিত্যবিশারদ,বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস রচনার জগতে অন্যতম বিখ্যাত ঐতিহাসিক।১৩৩৪ বঙ্গাব্দে তিনিই সর্বপ্রথম “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য” গ্রন্থে বাংলাদেশের লোকসাহিত্যের গৌরব ও মর্যাদা সাহিত্যের দরবারে তুলে ধরেন। তাঁরই সুযোগ্য সম্পাদনায় চন্দ্রকুমার দে কর্তৃক সংগৃহীত ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ এবং ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়। দীনেশচন্দ্র সেনের মৌলিক গ্রন্থগুলোর মধ্যে রামায়ণী কথা, বৃহৎবঙ্গ, বেহুলা, ফুল্লরা, জড়ভরত ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ৷

হিন্দু ও মুসলমান যে বহুশতাব্দীকাল পরস্পরের সহিত প্রীতির সম্পর্কে আবদ্ধ হইয়া বাস করিতেছিলেন, এই গীতিগুলিতে তাহার অকাট্য প্রমাণ আছে।
—দীনেশচন্দ্র সেন

উক্তি সম্পাদনা

  • ইতরের ভাষা বলিয়া বঙ্গভাষাকে ব্রাহ্মণ পণ্ডিত-মণ্ডলী ‘দূর দূর’ করিয়া তাড়াইয়া দিতেন, হাড়ি-ডোমের স্পর্শ হইতে ব্রাহ্মণেরা যেরূপ দূরে থাকেন, বঙ্গভাষা তেমনই সুধী-সমাজের অপাংক্তেয় ছিল— তেমনই ঘৃণা, অনাদর ও উপেক্ষার পাত্র ছিল।কিন্তু হীরা কয়লার খনির মধ্যে থাকিয়া যেমন জহুরীর আগমনের প্রতীক্ষা করে, শুক্তির ভিতর মুক্তা লুকাইয়া থাকিয়া যেরূপ ডুবারীর অপেক্ষা করিয়া থাকে, বঙ্গভাষা তেমনই কোন শুভদিন, শুভক্ষণের জন্য প্রতীক্ষা করিতেছিল।মুসলমান বিজয় বাঙ্গলাভাষার সেই শুভদিন, শুভক্ষণের সুযোগ আনয়ন করিল। গৌড়দেশ মুসলমানগণের অধিকৃত হইয়া গেল,— তাঁহারা ইরান, তুরাণ যে দেশ হইতেই আসুন না কেন, বঙ্গদেশ বিজয় করিয়া বাঙ্গালী সাজিলেন।
    • দীনেশচন্দ্র সেন, ‘বঙ্গভাষার উপর মুসলমানের প্রভাব’, বিচিত্রা,  মাঘ ১৩৩৫, পৃ. ১৮৩
  • হিন্দু ও মুসলমান যে বহুশতাব্দীকাল পরস্পরের সহিত প্রীতির সম্পর্কে আবদ্ধ হইয়া বাস করিতেছিলেন, এই গীতিগুলিতে তাহার অকাট্য প্রমাণ আছে।
    • ময়মনসিংহ-গীতিকা বইয়ের ভূমিকাতে দীনেশচন্দ্র সেন এটি লিখেছিলেন।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

 
উইকিসংকলন
উইকিসংকলনে এই লেখক রচিত অথবা লেখক সম্পর্কিত রচনা রয়েছে: