ত্রৈলঙ্গ স্বামী
একজন হিন্দু যোগী
ত্রৈলঙ্গ স্বামী (কথিত ২৭ নভেম্বর ১৬০৭ - ২৬ ডিসেম্বর ১৮৮৭), যার সন্ন্যাসীর নাম স্বামী গণপতি সরস্বতী। তিনি একজন হিন্দু যোগী ছিলেন। তাঁর যোগশক্তি ও দীর্ঘায়ু সম্পর্কে নানান কাহিনী রয়েছে। কিছু বিবরণ অনুসারে, ত্রৈলঙ্গ স্বামী ২৮০ বছর বয়স পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। বারাণসীতে তিনি আসি ঘাট, হনুমান ঘাটে বেদব্যাস আশ্রম, দশাশ্বমেধ ঘাট সহ বিভিন্ন স্থানে থাকতেন। ত্রৈলঙ্গ স্বামীর জীবন ঈশ্বর পরিচালিত। গঙ্গাবক্ষ ছিল তার লীলাক্ষেত্র। গঙ্গাবক্ষে কখনও কাষ্ঠখণ্ডের মতো ভাসছেন, কখনও তলিয়ে যাচ্ছেন। ব্রৈলঙ্গস্বামী জ্ঞানমার্গী, অষ্টসিদ্ধির অধিকারী। আমিই ব্রহ্ম-এই বাক্যটির সাক্ষাৎ প্রতিমূর্তি।
উক্তি
সম্পাদনা- ধর্মের পথ খুবই উদার। যাঁর যে মতে বিশ্বাস তিনি সেই মতেই ধর্ম লাভ করতে সমর্থ হন। কখনও কারো ধর্মে বিশ্বাস ভঙ্গ করা কোন মতেই উচিত নয়।
- ধর্মের মূল হল—হৃদয়, মন ও শক্তির সঙ্গে ঈশ্বরে ভক্তি আর বিশ্বাস।
- উপাস্য দেবতা এক। যে ব্যক্তি, যে-কোনও নামে, যেভাবে পুজা করুক। সেই একেরই পূজা করে, কারণ দেবতা একমাত্র অদ্বিতীয়। দ্বিতীয় নাই। তিনি শিবম।
- ('আশাবতীর উপাখ্যান' গ্রন্থে বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর লিখিত ত্রৈলঙ্গ স্বামীর উক্তি)
ত্রৈলঙ্গ স্বামীকে নিয়ে উক্তি
সম্পাদনা- আমি তখন ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজে ছিলাম। তখন একবার কাশীধামের বিখ্যাত ত্রৈলঙ্গ স্বামীজির সহিত আমার সাক্ষাৎ হয়।...আমি প্রাতে উঠিয়া বাহির হইতাম এবং প্রায়ই ত্রৈলঙ্গ স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে থাকিতাম। কোন কোন দিন একটু বেলা হইলে, স্বামীজী ইঙ্গিতে আমার ক্ষুধা লাগিয়াছে কিনা জিজ্ঞাসা করিতেন। ক্ষুধা লাগিয়াছে বলিলে, রাস্তাতে সুবিধামত কাহাকেও বলিতেন,__‘উহার জন্য কিছু খাবার আন।’ অমনি তাহারা ৫/৭ জনের খাবার নিয়া আসিত। আমি বলিতাম, ‘এত খাইতে পারিৰ না, আপনি খাবেন কি?’ তাহাতে তিনি স্বীকৃত হইয়া তাঁহার মুখের ভিতর খাবার দেওয়ার জন্য বলিতেন। স্বামীজী খুব খাইতে পারিতেন।
- ত্রৈলঙ্গ স্বামী সম্পর্কে বিজয়কৃ্ষ্ণ গোস্বামী।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় ত্রৈলঙ্গ স্বামী সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।