পাখি

পালক ও পাখাবিশিষ্ট দ্বিপদী প্রাণী

পাখি হলো পালক ও পাখাবিশিষ্ট দ্বিপদী প্রাণী। পৃথিবীতে প্রায় দশ হাজার পাখির প্রজাতি রয়েছে। জীবিত পাখিদের মধ্যে মৌ হামিংবার্ড সবচেয়ে ছোট আর উটপাখি সবচেয়ে বড়।পাখিরা মেরুদণ্ডী প্রাণী। আধুনিক যুগের পাখিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এদের পালক, দন্তবিহীন চঞ্চু, শক্ত খোলকবিশিষ্ট ডিম যার সাহায্যে এরা বংশধর রেখে যায়। পাখিদের মধ্যে অনেকেই পরিযায়ী। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এরা বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যায়। বেশিরভাগ পাখিই সামাজিক জীব। পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই পাখিরা বিস্তৃত, অর্থাৎ সাতটি মহাদেশের সবখানেই পাখি দেখা যায়।

বিভিন্ন প্রজাতির পাখি
  • বনের পাখি বলে, ‘খাঁচার পাখি ভাই,
    বনের গান গাও দিখি।’
    খাঁচার পাখি বলে, ‘বনের পাখি ভাই,
    খাঁচার গান লহো শিখি।’
    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (দুই পাখি), সঞ্চয়িতা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১২৫
  • ডাক্ রে আবার, পাখি, ডাক্ রে মধুর!
    শুনিয়ে জুড়াক প্রাণ, তোর সুললিত গান
    অমৃতের ধারা সম পড়িছে প্রচুর।
    আবার ডাক্ রে পাখি, ডাক্ রে মধুর!
    • হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (কোন একটি পাখীর প্রতি), কবিতাবলী- হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, দ্বিতীয় সংস্করণ, এডুকেশন গেজেট ও অবোধবন্ধু হইতে উদ্ধৃত ও প্রকাশিত, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দ (১২৭৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৩
  • অনেক পাখি বড়-বড় সাগর পার হয়ে, এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যায়। এদের মধ্যে গগন-বেড়ের মতো বড়-বড় পাখিও আছে, তাদের এক-একটার ওজন প্রায় আধমণ। আবার খঞ্জনের মতো ছোট-ছোট পাখিও আছে, যার ওজন এক ছটাকের বেশি হবে না।
    • উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, প্রবাসী পাখি, বিবিধ প্রবন্ধ, উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, প্রকাশক- বসাক বুক স্টোর প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রকাশসাল-১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৮৫
  • জার্ম্মাণী দেশে লিলিয়েনথাল মনে করিলেন, আমরা কেন পাখীর মতো আকাশ ভ্রমণ করিতে পারিব না? তাহার পর পরীক্ষা করিতে আরম্ভ করিলেন। তিনি জানিতেন, এই বিদ্যা সাধন করিতে অনেক দিন লাগিবে। শিশু যেরূপ একটু একটু করিয়া অনেক চেষ্টায় হাঁটিতে শিখে, তাঁহাকেও সেইরূপ করিয়া উড়িতে শিখিতে হইবে। কিন্তু শিশু যেরূপ পড়িয়া গেলে আবার উঠিতে চেষ্টা করে, আকাশ হইতে পড়িয়া গেলে আর তো উঠিবার সাধ্য থাকিবে না, মৃত্যু নিশ্চয়। এত বিপদ জানিয়াও তিনি পরীক্ষা হইতে বিরত হইলেন না। অনেক পরীক্ষার পর নানাপ্রকার পাখা প্রস্তত করিলেন এবং সেইগুলি বাহুতে বাঁধিয়া পাহাড় হইতে ঝাঁপ দিয়া, পাখায় ভর করিয়া নীচে নামিতে লাগিলেন।
    • জগদীশচন্দ্র বসু, মন্ত্রের সাধন, অব্যক্ত - জগদীশচন্দ্র বসু, তৃতীয় সংস্করণ, প্রকাশক- বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২১ খ্রিস্টাব্দ (১৩২৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩৭

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা