পুণ্য

ধর্মীয় ভক্তি বা আধ্যাত্মিকতা

পুণ্য শব্দটি প্রধানত ধর্মীয় ভক্তি বা আধ্যাত্মিকতাকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধর্মে ঈশ্বরের সান্নিধ্য ও সহায় লাভের উপায়কেও পুণ্য বলে মনে করা হয়। বেদান্তের ভাষায় পুণ্য হলো অদৃশ্য সম্পদ, ধর্মের অংশ, মানুষের চারটি লক্ষ্যের মধ্যে প্রথম। অন্য তিনটি লক্ষ্য হচ্ছে অর্থ, কাম ও মোক্ষ। পুণ্য অতি প্রাচীন সংস্কৃত শব্দ যা ঋগ্বেদে দেখা যায়।

উক্তি সম্পাদনা

  • বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল—
    পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান॥
    • গীতবিতান- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ (১৪০০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৫৫
  • পুণ্যকাজে মতি যা’র প্রধাবিত হয়,
    সেই কার্য্য পুনঃ পুনঃ করিবে নিশ্চয়;
    তাহাতে আসক্তি যেন জন্মায় তাহার,
    পুণ্যের সঞ্চয় ভবে অতি সুখকর॥৩॥
    • ধম্মপদ- অনুবাদক- সতীশচন্দ্র মিত্র, প্রকাশক-দ্য স্টুডেন্টস লাইব্রেরি, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩১২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪১
  • স্বাধীনতার পুণ্য আলোক পেয়ে চীন, জাপান, তুরস্ক, মিসর পর্য্যন্ত আজ জগৎ-সভায় উন্নতশিরে এসে দাঁড়িয়েছে। তোমরা কি এখনও মোহাবেশে ঘুমিয়ে থাকবে? তোমরা ওঠো, জাগো, আর বিলম্ব করলে চলবে না।
    • তরুণের স্বপ্ন - সুভাষচন্দ্র বসু, কলকাতা, শ্রীগোপাললাল সান্যাল কর্ত্তৃক সঙ্কলিত ও প্রকাশিত, প্রকাশসাল- ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ (১৩৪৫ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৯-১০

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা