পুরুষ

একটি জীবের লিঙ্গ যা শুক্রাণু উৎপাদন করে

পুরুষ (প্রতীক: ♂ ) বা পুংলিঙ্গ বলতে বোঝানো হয় জীবের সেই জৈবিক লিঙ্গকে যে শুক্রাণু নামক জননকোষ উৎপাদন করে যা নিষিক্তকরণ প্রক্রিয়ায় বড় আকারের ডিম্বাণুর ,সাথে মিলিত হয়।

  • জগৎ সৃষ্টির যে নিয়ম, আমাদের ভাব সৃষ্টিরও সেই নিয়ম। মনোযোগ করিয়া দেখিলে দেখা যায়, আমাদের মাথার মধ্যে প্রকৃতি পুরুষ দুই জনে বাস করেন। একজন ভাবের বীজ নিক্ষেপ করেন, আর একজন তাহাই বহন করিয়া পালন করিয়া, পোষণ করিয়া তাহাকে গঠিত করিয়া তুলেন।
  • অগােছালাের মধ্যে থাকি ভাবি অবাক-পারা
    সৃষ্টিতে এই পুরুষ মেয়ের চলেছে দুইধারা,—
    পুরুষ আপন চারিদিকে জমায় আবর্জনা
    মেয়ে এসে নিত্য তা'রে করিছে মার্জনা॥
  • নারী পুরুষের অর্দ্ধাঙ্গিনী, সত্য কথা, সূর্য্যমুখী। কিন্তু তার চেয়ে বড় সত্য, নারী পুরুষের সহধর্ম্মিনী। গৃহে নারী পুরুষের গৃহলক্ষ্মী, কিন্তু জীবনের কর্ম্মে নারী পুরুষের বীরজায়া, সহকর্মী। এই খানেই ত নারীর মহত্ত্ব। পুরুষকে আমাদের আনন্দ যেমন দিতে হবে, শক্তিও তেমনি দিতে হবে। কাজের ক্ষেত্রেও পুরুষকে একলা ছেড়ে দেব কেন?
  • নিখিল পুরুষ হতে ভকতি-ভাজন
    পূজনীয় হয় সদা তব কোন্‌ জন?
    জান কি
    তাঁহারে তুমি চপল-হৃদয়!
    সে জন জনক তব আর কেহ নয়।
    • গুরুনাথ সেনগুপ্ত - হিতদীপ, জনক (১৮৮৭)।
  • আজকাল পুরুষের মোলায়েম নাম অতিমাত্রায় চলিতেছে। রমণী কামিনী সরোজ শিশির নলিনী গোলাপ অমিয় ইত্যাদি নাম পুরুষরা অনেক দিন হইতে বেদখল করিয়াছেন, এখন আবার কুসুম মৃণাল জ্যোৎস্না লইয়া টানাটানি করিতেছেন। পুরুষের নাম একটু জবরদস্ত হইলেই ভাল হয়।
  • যখন পুরুষের মন-চড়ায় তাহাদের রূপের বান ডাকে, তখন তাহাদের কর্ম্ম-জাহাজ, ধর্ম্ম-পান্সী, বুদ্ধি-ডিঙ্গি, সব ভাসিয়া যায়। কেবল সৌন্দর্য্যাভিমানিনী কামিনীকুলেরই এইরূপ প্রতীতি নহে; পুরুষেরাও যখন মহিলাগণের মোহিনী শক্তির বশীভূত হইয়া তাহাদিগের রূপের মহিমা বর্ণনারম্ভ করেন, তখন যে তাঁহারাও কি বলেন, ভাবিলে বিস্মিত হইতে হয়।
  • মনুর বিধানে মানুষ বিভক্ত হয়েছিল সরাসরি দুটি ভাগে- 'পুরুষ' ও নারী'। পুরুষকে প্রভুর ভূমিকায় এবং নারীকে ক্রীতদাসীর চেয়েও অধম, ধর্ষিতার চেয়েও অত্যাচারিতা এবং গৃহপালিত পশুর চেয়েও হীন ভূমিকায় নামিয়ে এনেছিল মনুর আইন

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা