সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আমাদের এই বাংলা।প্রকৃতি যেন তার অকৃপণহাতে সৌন্দর্য্য দান করেছে তার স্নেহসিক্ত রূপের এই কন্যাকে। সর্বত্রই আদিগন্ত বিস্তৃত সবুজ প্রান্তর। যেদিকে দুচোখ যায় সবই যেন একই রকম মনে হয়। যেন সবুজে সবুজে একাকার। এ যেন অপরূপ রূপে সুশোভিত প্রকৃতির সবুজ ভান্ডার। প্রকৃতির রূপের রাণী বললেও অত্যুক্তি হবেনা। চিরায়ত বাংলার এ রূপে আকৃষ্ট হয়ে এর গুণকীর্তন করেছেন নানাজন নানাভাবে।

উক্তি সম্পাদনা

  • কোন দেশেতে তরুলতা
    সকল দেশের চাইতে শ্যামল?
    কোন দেশেতে চলতে গেলেই
    দলতে হয় রে দূর্বা কোমল?
    কোথায় ফলে সোনার ফসল,
    সোনার কমল ফোটে রে!
    সে আমাদের বাংলাদেশ,
    আমাদেরই বাংলা রে!
    • সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কোন দেশে কবিতার অংশ
  • বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা রূপের যে তার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ।
    • শোনো, একটি মুজিবরের থেকে গানের অংশবিশেষ
  • আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে—এই বাংলায়
    হয়তো মানুষ নয়—হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে;
    হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
    কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল-ছায়ায়;
    • রূপসী বাংলা - জীবনানন্দ দাশ, প্রকাশক- সিগনেট প্রেস, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৪
  • বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।
  • তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও — আমি এই
    বাংলার পারে
    র’য়ে যাব; দেখিব কাঁঠালপাতা ঝরিতেছে
    ভোরের বাতাসে;
    • জীবনানন্দ দাশ। "তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও" কবিতার অংশ।
   

আমাদের ছোটো নদী চলে আঁকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি, দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।

চিক্ চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা, একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা। কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক, রাতে ওঠে থেকে থেকে শেয়ালের হাঁক।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। "আমাদের ছোট নদী" কবিতার অংশ।