অধম মামুন
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি “ড্রাগ” ঔষধ হিসেবে আমাদের বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করে। আর এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ো কমে যাচ্ছে। যার প্রধান কারণ ড্রাগের অপব্যবহার। আমরা ড্রাগকে যখন ঔষধ হিসেবে গ্রহণ করছি তখন আমাদের দেহের বিভিন্ন কোষ রাসায়নিক ক্রিয়া বা ড্রাগ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, যা আমরা চিকিৎসা হিসেবে গ্রহণ করছি। আর এই ড্রাগ সাধারণ মানুষের দেহে প্রবেশ করানোর জন্য দেশে বড় বড় ডক্টরেট করা ডাক্তার দিয়ে মানুষকে ড্রাগ এডিকটেড করা হচ্ছে, যার পেছনে দেশের বড় বড় ড্রাগ কোম্পানীদের প্রধান হাত রয়েছে।
ঔষধ মানুষকে চিকিৎসা দেবে রোগ নয়। আমাদের দেশের সাধারন জনগন রোগ মুক্তির লক্ষ্যে ডাক্তারের কাছে যায়, কিন্ডু আমরা একবার ভেবে দেখিনা একটি ব্যাথা নাশক ড্রাগ যখন ডাক্তার আমাদের পরামর্শ দেয় তার সাথে এ্যাসিডিটি বা গ্যাসের ঔষধ কেন দেন?
অর্থাৎ ডাক্তার যানেন ব্যাথা নাশক ড্রাগ তাকে এ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দেবে, তৈরী হবে নতুন রোগ।
এবার এ্যাসিডিটির জন্য যে ড্রাগ দেয়া হয় তা একটি মানুষের পাকস্থলীতে তৈরী হওয়া পাচক রস বা হাইড্রোক্লোরাইড এ্যাসিড তৈরী করা বন্ধ করে দেয়, ফলে একজন মানুষ কিছু সময়ের জন্য এ্যাসিডিটি হতে মুক্ত থাকে আর ঐ ড্রাগকে ঔষধ হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু পাকস্থলীতে তৈরী হওয়া পাচক রস বা হাইড্রোক্লোরাইড এ্যাসিড উৎপন্ন বন্ধ বা ব্লক হওয়ায় আমাদের খাদ্যকে হজম না করে পচিয়ে দেয়, ফলে দেহ কোষ সঠিক খাবার না পেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। হিটলার যখন জার্মানে তার হাসপাতালে ইহুদীদের বন্দী করে তাদের শরীরে যে বিশ প্রয়োগ করে ইহুদীদের হত্যা করতেন, সে বিষ যারা তৈরী করতেন তারা ঐদেশের সবচেয়ে বড় ডক্টরেট করা ক্যামিষ্ট দিয়ে করানো হত। আবার ঐ বিষ যারা ইহুদীর খাবারে মেশাতো তারাও জার্মানের বড় ডক্টরেট করা ডাক্তার দিয়েই করানো হতো। আজ আমাদের দেশে যে ড্রাগ মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো হচ্ছে তা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় ডক্টরেট করা ডাক্তার নামক ড্রাগ বিক্রেতারা করতেছে। দেশের ড্রাগ ব্যাবসায়ীরা এম পি মন্ত্রি হয়ে চিকিৎসার নামে দেশের মানুষকে ড্রাগ এডিক্টেড বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মানুষের শক্তি, সামর্থ দুটোই। যে শিশুটির মাতৃগর্ভ হতে বের হবার জন্য সৃষ্টিকর্তা একটা সঠিক রাস্তা দিয়েছেন, সেই শিশুটিকে মেডিকেল ব্যাবসায়ীদের অধিনে থাকা ডাক্তার নামক ড্রাক বিক্রেতার ছবলে পড়ে আসতে হল পেট কেটে বে-সঠিক রাস্তায়। অথচ ঐ শিশুটি যদি তার মায়ে যোনী পথ দিয়ে পৃথিবীতে আসতো তবে মায়ের জাইগোট হয়ে জড়ায়োপথ পর্যন্ত যত প্রকার ব্যাক্টেরিয়া জীবানু থাকা সব পরিস্কার হয়ে জাড়ায়ো ক্যান্সারের ঝুকি কমে যেত। নারীকে পঙ্গু হতে হতো না। সামান্য কিছু টাকার জন্য আমাদের দেশের নারীকে পঙ্গু করে দিচ্ছে দেশের বড় বড় ডক্টরেট করা ড্রাগ ব্যাবসায়ীরা। আমাদের এখনো সময় আছে আমরা চাইলে আমাদের পরিবর্তন করতে পারি, বাচাতে পারি হাজার মায়ের জীবন, বাচাঁতে পারি দেশের নব-কিশোর প্রান। দেশকে ড্রাগ মুক্ত করতে হবে, প্রকৃতির হাতে ন্যাস্ত করতে হবে আমাদের সাস্থ্যকে, তবেই সু-সাস্থ্য পাবে দেশের প্রান, থাকবে দেশের মান।