poem:


             কালেরবাতি
          জান্নাতুল ফেরদৌসী


ছোট্ট পায়ে হাঁটতে হাঁটতে হোঁচট খেয়েছি বহুবার, তুলেছে অনেকেই, তবে ভর্ৎসনা জলে ক্ষীণতরী ভেসেছে বারেবার! থামেনি তবু বন্ধুর পথে চলার গতি তার ধূলিকণার আবরণে ঢেকে যাওয়া হৃৎপাতায়; আলো জ্বেলে সজীবতা এনেছে কালের বাতি আরবার। মাপ ছাড়া সময় চলে সময়ের টানে, গুটিয়ে নেওয়া দিনগুলো তবুও যেন খসড়া পাতায় যবনিকা খোঁজে আনমনে। সাদা সুতোয় বোনা এক চিমটি জীবনে কী লাভ! যোগ-বিয়োগের হিসেব কষে; যাবে তো সবই ভূমি তলের নিরালোক সনে। বাতিঘরের বিন্দু বিন্দু বাণীগুলো রয়ে যাবে, কেবলই ছাঁচে গড়া ফ্রেমের পাতায় ইতিহাসের স্থিরপটের কালিমায়! আপন-পরের গোলমেলে বাঁধগুলো সুঁইয়ের খোঁচায়, কুয়াশায় ঝাপসা হয়ে উবে যায় কালের সোঁতায়। এমনই শূন্যতার খেয়ায় জ্বলে ওঠা

কালের বাতি’র ভারি তাপে,

খাঁটি হয়ে জেগে ওঠে কতশত নিবুনিবু দ্বীপের শিখা। মায়ায় জড়ানো আবেগী মন খোঁজে না আর ফেলে আসা ক্ষণিকের তরে, মেলে রাখা স্মৃতির চাদর; কালের বাতি জ্বেলেছে সেথায়,রাজটিকার সমাদর!!