ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বাংলাদেশের শহর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা। শিক্ষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান রূপে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়ে থাকে। স্থানীয়রা আঞ্চলিক ভাষায় জেলাটিকে প্রায়ই বাউনবাইরা বলে থাকে।

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আমি দ্বিতীয় জন্মস্থান মনে করি। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আমার একরকম নব জন্ম ঘটেছিল। আজকে আমি যা হয়েছি, তাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবদান অল্প নয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে লিখতে গেলে আমাকে পুরো একটা বই লিখতে হবে। তাতেও আমার কথা ফুরোবেনা।
  • কিশোরগঞ্জে মাসির বাড়ি
    মামার বাড়ি চাতলপাড়
    বাপের বাড়ি বাউনবাইড়া
    নিজের বাড়ি নাই আমার
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার নবীনগর থানার কৃষ্ণনগরে জনাব রকিবুল হোসেন এক সভার আয়োজন করেন কৃষ্ণনগর হাইস্কুলের দ্বারোদঘাটন করার জন্য। … সেখানে বিখ্যাত গায়ক আব্বাসউদ্দিন, সোহরাব হোসেন ও বেদারউদ্দিন আহম্মদ গান গাইবেন। আমাকেও নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল।...সন্ধ্যায় গানের আসর বসল। আব্বাসউদ্দীন সাহেব, সোহরাব হোসেন সাহেব ও আমরা রাতে রফিক সাহেবের বাড়িতে রইলাম। …পরের দিন নৌকায় আমরা রওয়ানা করলাম, আশুগঞ্জ স্টেশনে ট্রেন ধরতে। পথে পথে গান চলল। নদীতে বসে আব্বাসউদ্দিন সাহেবের ভাটিয়ালি গান তাঁর নিজের গলায় না শুনলে জীবনের একটা দিক অপূর্ণ থেকে যেত। তিনি যখন আস্তে আস্তে গাইতেছিলেন তখন মনে হচ্ছিল, নদীর ঢেউগুলিও যেন তাঁর গান শুনছে।
  • পাকিস্তানীরা কেবলমাত্র ঢাকা থেকে সৈন্য এনে সিলেটের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিল না, তারা কুমিল্লার দিক থেকেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেটের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে। কুমিল্লার দিক থেকে যে সমস্ত সৈন্য অগ্রসর হচ্ছিল তাদের বাধা দেওয়ার জন্য মেজর খালেদ মোশাররফ কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে এবং কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে লাইনের উপর নিম্মলিখিত জায়গায় পুল ভেঙ্গে দিয়ে সৈন্য মোতায়েন করে, যাতে পাকিস্তানী সৈনিকরা বিনা বাধায় অগ্রসর হতে না পারে। যে সব পুল ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল সেগুলো হলঃ উজানিসার হাইওয়ে ব্রীজ, গঙ্গাসাগর এবং আখাউড়া রেলওয়ে ব্রীজ।
    • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (নবম খণ্ড)/৪ [৩]

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা