লালন

বাঙালি কবি, সুরকার এবং বাউল সাধক

লালন (১৭ অক্টোবর ১৭৭২ – ১৭ অক্টোবর ১৮৯০) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি লালন ফকির, ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত। তিনি অসংখ্য বাউল গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১৮৮৯ সালে লালনের জীবদ্দশায় আঁকা একমাত্র চিত্র। এঁকেছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর

উক্তি সম্পাদনা

  • সব লোকে কয়, লালন কি জাত সংসারে।
    লালন বলে, জাতির কি রূপ, দেখলাম না এই নজরে॥
    কেউ মালা কেউ তসবীর গলে
    তাইত রে জাত ভিন্ন বলে
    যাওয়া কিম্বা আসার বেলায়
    জাতের চিহ্ন রয় কারে॥
    • লালন-গীতিকা- লালন, সম্পাদক- মতিলাল দাশ ও পীযূষকান্তি মহাপাত্র, প্রকাশক- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৫ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩৮
  • এমন মানবজনম আর কি হবে।
    মন যা করো ত্বরায় করো এই ভবে॥
  • মেঘপানে চাতকের বিধান
    অন্য জল সে করে না পান
    লালন কয়, জগতে প্রমাণ
    ভক্তির জ্যেষ্ঠ সেহি ভক্তি॥
    • লালন-গীতিকা- লালন, সম্পাদক- মতিলাল দাশ ও পীযূষকান্তি মহাপাত্র, প্রকাশক- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৫ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৭৩

লালনকে নিয়ে উক্তি সম্পাদনা

  • লালন ফকির নামে একজন বাউল সাধক হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, জৈন ধর্মের সমন্বয় করে কী যেন একটা বলতে চেয়েছেন —আমাদের সবারই সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
  • লালন ধার্মিক ছিলেন, কিন্তু কোনো বিশেষ ধর্মের রীতিনীতি পালনে আগ্রহী ছিলেন না। সব ধর্মের বন্ধন ছিন্ন করে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন জীবনে।
    • লালনের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

 
উইকিসংকলন
উইকিসংকলনে এই লেখক রচিত অথবা লেখক সম্পর্কিত রচনা রয়েছে: