শীত

বাংলা সনের পঞ্চম ঋতু

শীত বাংলার ষড়ঋতুর পঞ্চম ঋতু। পৌষমাঘ এই দুই মাস মিলে শীতকাল। শীতকাল প্রধানত শুষ্ক এবং দিনের তুলনায় রাত হয় দীর্ঘ। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি শীতকাল হলেও বাস্তবে নভেম্বর থেকেই হালকা শীত অনুভূত হতে থাকে। শীতকালে রকমারি ফুল ফোটে। এই সময় ঘন কুয়াশা দেখা যায়। পাতা ও ঘাসে বিন্দু বিন্দু শিশির দেখা যায়।

শীতকালে তুষার-ঢাকা নেপালের গোসাইকুন্ড

উক্তি সম্পাদনা

  • শীতের হাওয়ার লাগল নাচন
    আম্‌লকির এই ডালে ডালে।
    পাতাগুলি শির্‌শিরিয়ে
    ঝরিয়ে দিল তালে তালে।
  • আবছায়া চারিদিক, ঝাপসা নিঝুম,
    পউষের ভোরবেলা—ভেঙে গেল ঘুম।
    উষার দুয়ারে এক তুষারের ঢেউ
    কখন পড়েছে ভেঙে, জানে না তা কেউ।
    ঝিমঝিমে হিম-হাওয়া বয় বার বার,
    দিকে দিকে বাজে যেন শীতের সেতার।
  • আইল শীত ঋতু হেমন্তের পরে,
    শীতল ধরণী এবে চাহে দিবাকরে।
    কুন্দ-শেফালিকা ফুলে
    নীহারবিন্দু উছলে;
    কুসুমকানন-মূলে
    শ্রীরাগ বিহার করে।
  • এখনো সুদূরে দেখি মেলিয়া নয়ন—
    ধোঁয়া আর কুয়াশার গাঢ় আবরণ।
    পউষের মিঠে রোদে বসেছি দাওয়ায়,
    নলেন গুড়ের পিঠে খাবি কে রে আয়॥

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা