গ্রীষ্ম
বছরের উষ্ণতম কাল
গ্রীষ্ম বাংলার ষড়ঋতুর প্রথম ঋতু। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ প্রথম দুই মাস জুড়ে গ্রীষ্মকাল। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে সাধারণত জুন, জুলাই এবং আগস্ট মাস জুড়ে গ্রীষ্মকাল থাকে। গ্রীষ্ম বছরের উষ্ণতম কাল। এইসময় সূর্যের তাপ প্রখর হয়। চারিদিকে বিরাজ করে গরম আবহাওয়া এবং অস্বস্তিকর পরিবেশ। এই সময় আম, জাম, কাঁঠাল, বেল প্রভৃতি ফল পাকে। বেল, জুঁই, চাঁপা প্রভৃতি সুগন্ধি ফুলের মন মাতনো সৌরভ গ্রীষ্মকালে পাওয়া যায়।
উক্তি
সম্পাদনা- বড় গরম! ভারি গরম! ঠাণ্ডা সরবৎ আনো!
হাত পা কেমন করছে ছন্ছন্! জোরে পাখা টানো!
খালে বিলে নাই রে জল, সব শুকিয়ে গেল
তাতে মাটি ফাটে কাঠ, গ্রীষ্ম ঐ রে এল! - সর্বনেশে গ্রীষ্ম এসে বর্ষশেষে রুদ্রবেশে
আপন ঝোঁকে বিষম রোখে আগুন ফোঁকে ধরার চোখে।
তাপিয়ে গগন, কাঁপিয়ে ভুবন মাতলো তপন নাচলো পবন,
রৌদ্র ঝলে আকাশতলে অগ্নি জ্বলে জলেস্থলে। - গ্রীষ্মকাল ক্রমেই প্রখর হয়ে উঠল। আফ্রিকার দারুণ গ্রীষ্ম— বেলা ন’টার পর থেকে আর রোদে যাওয়া যায় না। এগারোটার পর থেকে শঙ্করের মনে হয় যেন দিকবিদিক দাউদাউ করে জ্বলচে। তবুও সে ট্রেণের লোকের মুখে শুনলে মধ্য-আফ্রিকা ও দক্ষিণ-আফ্রিকার গরমের কাছে এ নাকি কিছুই নয়!
- ফুল হীন, ফল হীন―জল হীন, ছায়া হীন আরব দেশ। সে দেশে নাই বসন্ত, ডাকেনা পাখী, নাচেনা ময়ূর ময়ুরী, তাই ফুটেনা ফুল;―কেবলি রোদ, কেবলি গ্রীষ্ম। সেখানে সহজে জল মিলে না, শস্যাদিও জন্মে না।
- রাহাতুন্নেছা খাতুন (দেবী রাবিয়া)
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় গ্রীষ্ম সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে গ্রীষ্ম শব্দটি খুঁজুন।