সাম্প্রদায়িকতা
জাতিগত বা অন্যান্য সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা
সাম্প্রদায়িকতা হল ধর্ম, জাতি, গোষ্ঠী বা মতাদর্শের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করা। এটি একটি বৈষম্যমূলক এবং ক্ষতিকর প্রক্রিয়া যা সমাজে বিভেদ, সহিংসতা এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। সাম্প্রদায়িকতা সমাজের জন্য একটি বড় হুমকি। এটি সমাজে বিভেদ, সহিংসতা এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, জাতিগত সাম্প্রদায়িকতা,গোষ্ঠীগত সাম্প্রদায়িকতাসহ সাম্প্রদায়িকতার আরো অনেক রূপ রয়েছে। [১]
উক্তি
সম্পাদনা- যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, যারা সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে এবং সাম্প্রদায়িকতার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।
- হযরত মুহাম্মদ (স.), (সুনানে আবু দাউদ:৫১২৩)
- বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা রোধ করা যেত যদি পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং পূর্ববঙ্গ মিলে সকল সম্প্রদায়ের একটি স্বাধীন দেশ হতো।
- আর সাম্প্রদায়িকতা যেন মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে। ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাংলাদেশ। মুসলমান তার ধর্মকর্ম করবে। হিন্দু তার ধর্মকর্ম করবে। বৌদ্ধ তার ধর্মকর্ম করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না।
- দেশ তো রাজনৈতিকভাবে ভাগ হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি অখণ্ড ও অবিভাজ্য। গঙ্গার পানির অধিকার যেমন দুই বাংলার মানুষ চায়, তেমনি বাংলা সংস্কৃতির অধিকারও দুই বাংলার মানুষের। এই ঐতিহ্য-চেতনা যদি সারা পৃথিবীর বাংলাভাষী মানুষের মধ্যে জাগানো যায় ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত হতে পারে, হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির ভিত্তিতে একটি কালচারাল নেশন বা সাংস্কৃতিক জাতি গড়ে তুলতে পারে, তাহলে তারা হয়তো বাঙালির মুক্তি আনতে পারে। এই অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সাংস্কৃতিক জাতি পরবর্তীকালে অবিভক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের সীমানা চিহ্নিত করবে।
- আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর সাথে সত্যজিৎ রায় বলেছিলেন।[২]
- প্রতিটি গোষ্ঠী তার নিজস্ব ধারায় তার অবাধ বিকাশের অধিকারী এই নীতিটি কোনও সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িকতার অনুভূতি দ্বারা অনুপ্রাণিত নয়। আছে সাম্প্রদায়িকতা, সাম্প্রদায়িকতা। অন্য সম্প্রদায়ের প্রতি অসন্তুষ্টির অনুভূতি দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি সম্প্রদায় নিম্ন এবং অবজ্ঞাপূর্ণ। আমি অন্যান্য সম্প্রদায়ের রীতিনীতি, আইন, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করি। বরং, কুরআনের শিক্ষা অনুসারে প্রয়োজনে তাদের উপাসনালয়কে রক্ষা করাও আমার কর্তব্য। তবুও আমি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে ভালবাসি যা আমার জীবন এবং আচরণের উত্স; এবং যা আমাকে তার ধর্ম, তার সাহিত্য, তার চিন্তাধারা, তার সংস্কৃতি প্রদান করে এবং এর মাধ্যমে আমার বর্তমান চেতনায় তার পুরো অতীতকে একটি জীবন্ত অপারেটিভ ফ্যাক্টর হিসাবে পুনঃনির্মাণ করার মাধ্যমে আমি কী তা গঠন করেছি। এমনকি নেহরু রিপোর্টের লেখকরাও সাম্প্রদায়িকতার এই উচ্চতর দিকটির মূল্য স্বীকার করেছেন।
- সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের ২৫তম অধিবেশনে স্যার মুহাম্মদ ইকবালের ১৯৩০ সালের সভাপতির ভাষণ, এলাহাবাদ, ২৯ ডিসেম্বর ১৯৩০ (কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে)। ইকবাল: দ্য লাইফ অব আ পোয়েট, ফিলোসফার অ্যান্ড পলিটিশিয়ান (২০১৪) গ্রন্থে জাফর আঞ্জুমের উদ্ধৃতি।
- মাদ্রাজে হিন্দু ও মুসলমানরা তামিল ভাষায় কথা বলে এবং বাংলায় তারা উভয়ই বাংলা ভাষায় কথা বলে, হিন্দি বা উর্দু নয়। যখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়, তখন তারা সবসময় গরু এবং ধর্মীয় শোভাযাত্রার ঘটনা দ্বারা উস্কে দেওয়া হয়। এর অর্থ হ'ল এটি আমাদের কুসংস্কার যা সমস্যা তৈরি করে, আমাদের পৃথক জাতীয়তা নয়।
- মহাত্মা গান্ধী, লুই ফিশারের সাথে কথোপকথন, ৬ জুন ১৯৪২, এ উইক উইথ গান্ধী, ৪৫-৪৬ পৃষ্ঠা।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সাম্প্রদায়িকতা কি? ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব ও বিকাশ আলোচনা কর"। lxnotes.com। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৪।