সাম্যবাদ

রাজনৈতিক এবং আর্থ-সামাজিক মতাদর্শ

সাম্যবাদ বা কমিউনিজ়ম (ইংরেজি: communism; লাতিন শব্দ communis থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ "সাধারণ, চিরন্তন") হল শ্রেণীহীন, শোষণহীন, ব্যক্তি মালিকানাহীন এমন একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবাদর্শ বা ধর্ম যেখানে ব্যক্তিগত মালিকানার স্থলে উৎপাদনের সকল মাধ্যম এবং প্রাকৃতিক সম্পদ (ভূমি, খনি, কারখানা) রাষ্ট্রের মালিকানাধীন এবং নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে। সাম্যবাদ হল সমাজতন্ত্রের একটি উন্নত এবং অগ্রসর রূপ, তবে এদের মধ্যেকার পার্থক্য নিয়ে বহুকাল ধরে বিতর্ক চলে আসছে।

  • সাম্যবাদ ও স্বাধীনতা মন্ত্র প্রচার করিবার জন্য তােমরা গ্রামে গ্রামে ছড়াইয়া পড়। স্বাধীন ভারতের যে দৃশ্য আজ তােমাদের সম্মুখে ধরিলাম তাহা সমগ্র দেশবাসীর সম্মুখে ধর। স্বাধীনতার পুর্ব্বাস্বাদ নিজের অন্তরে পাইলে সকলেই পাগল হইয়া উঠিবে। এই আস্বাদ—এই অনুভূতি নিজের অন্তরে আগে অবশ্য পাওয়া চাই। নিজের অন্তরে এই আলােক জ্বালাে—সেই দীপ হস্তে লইয়াই দেশবাসীর দ্বারস্থ হও। যাও চীনা ছাত্রদের মত—রুষ তরুণদের মত—চাষীর পর্ণকুটীরে ও মজুরদের আবর্জ্জনাপূর্ণ ভগ্ন গৃহে। তাহাদের জাগাও। আর যাও—মাতৃজাতির সমীপে। যাঁরা শক্তিরূপিনী অথচ সমাজের চাপে আজ যাঁরা হইয়াছেন— “অবলা”—তাঁদেরও জাগাও—
    • সুভাষচন্দ্র বসু, হুগলী জেলা ছাত্র-সম্মেলনে প্রদত্ত ভাষণ, নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু, শ্রীগোপাললাল সান্যাল কর্ত্তৃক সঙ্কলিত ও প্রকাশিত, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩৪
  • সাম্যবাদ যে বিপ্লবে রূপান্তরিত হইয়া প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে ইহা লেনিনের প্রতিভার এক অপূর্ব্ব দান। অবশ্য তিনি পূর্ব্ব-নির্দ্দিষ্ট কোন প্রণালীবদ্ধ কর্ম্মপদ্ধতি বলশেভিকদের গ্রহণ করিতে অনুরোধ করেন নাই। দলকে যন্ত্রবং পরিচালনা করিতে তিনি কখনই প্রয়াসী হন নাই। তবে রাজনীতিক্ষেত্রে তথাকথিত শিথিল উদারনীতি সযত্নে পরিহার করিয়া তিনি অবস্থানুযায়ী ব্যবস্থা অবলম্বন করিয়াছেন।
    • সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার, ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার, প্রকাশক- অগ্রণী বুক ক্লাব, প্রকাশসাল- ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দ, পৃষ্ঠা-২৩
  • তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির ইতিহাস শোনো নাই-
    ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’
    একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি, আজো একসাথে থাকবোই
    সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবোই।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা