২০১৩ শাপলা চত্বর বিক্ষোভ
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে বিক্ষোভ
অপারেশন সিকিউর শাপলা বা শাপলা চত্বর অভিযান হল ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ ই মে বাংলাদেশের ঢাকায় সংঘটিত ঘটনাসমূহ, যার মাধ্যমে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের তৎকালীন সদ্যপ্রসূত ইসলামী অরাজনৈতিক জোট হেফাজতে ইসলামের গনসমাবেশ, আন্দোলন এবং তাদেরকে বিতাড়িত করার জন্য সরকার কর্তৃক পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সমন্বিত বাহিনীর ব্যবহারকে বোঝানো হয়। এই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইসলামিক নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে অপ্রীতিকর মন্তব্য করার শাস্তি হিসেবে একটি ব্লাসফেমি আইন প্রনয়ন এবং প্রকাশ্য নারী পুরুষের অনৈসলামিক মেলামেশা ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারকে আহবান জানানো।
২০১৩ শাপলা চত্বর বিক্ষোভ নিয়ে উক্তি
সম্পাদনা- মির্জা ফখরুল ক্ষমতা দখল করার জন্য নেতাকর্মীদের অতিরিক্ত কাপড় নিয়ে ঢাকা আসতে বলেছেন। তো আমরা কি দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো? আমরাও প্রস্তুত আছি। অবরোধ করলে বিএনপি অবরোধ হয়ে যাবে। খেলা হবে। বিএনপির পরিণতি শাপলা চত্বরের থেকেও করুণ হবে। শেখ হাসিনা মাথা নত করবে না।”
- ওবায়দুল কাদের ১৬ অক্টোবর ২০২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী যুবলীগের এক সমাবেশে বলেছেন।
- “এতো লাশ গেলো কোথায়? ওই হিসাব বিরোধীদলকে দিতে হবে।” বিএনপির পক্ষ থেকে আড়াই হাজার লোককে সেদিন হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করার হয়। আড়াই হাজার লোককে হত্যা করতে কতো গোলা-বারুদ দরকার হয়? কত হাজার গুলির প্রয়োজন হয়? আর কত মানুষ আহত হতো?” এত মানুষ নিহত হলে তাদের আত্মীয়-স্বজনরা কোথায়। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিরোধীদলের পক্ষ থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তাদেরকে বলতে হবে একটা ট্রাকে কত লাশ ধরে। উনি (খালেদা জিয়া) তো আর্মি অফিসারের বউ। ওনার তো গোলা-বারুদ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা দরকার। আছরের নামাজের পর দোয়া পড়ে হেফাজতে ইসলাম শাপলা চত্বর ছেড়ে চলে যাবে বলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আশ্বাস দেওয়ায় তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
- শেখ হাসিনা, ৯ মে ২০১৩, গণভবনে বৃহস্পতিবার ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে [১]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় ২০১৩ শাপলা চত্বর বিক্ষোভ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।