অমৃতলাল বসু

ভারতীয় নাট্যকার

অমৃতলাল বসু (১৭ই এপ্রিল, ১৮৫৩- ২রা জুলাই, ১৯২৯) ব্রিটিশ আমলের বাঙালি নাট্যকার ও নাট্য অভিনেতা। নাটক রচনা এবং নাট্যাভিনয়ে সাফল্যের জন্য জনসাধারণের কাছে রসরাজ নামে খ্যাত ছিলেন। গিরিশচন্দ্র ঘোষঅর্ধেন্দুশেখর মুস্তফীর উৎসাহে তিনি ন্যাশনাল, গ্রেট ন্যাশনাল, গ্রেট ন্যাশনাল অপেরা কোম্পানি, বেঙ্গল, স্টার, মিনার্ভা ইত্যাদি রঙ্গমঞ্চে সুনামের সাথে অভিনয় করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক জগত্তারিণী পদক লাভ করেন।

উক্তি সম্পাদনা

অমৃতলাল বসু সম্পর্কিত উক্তি সম্পাদনা

  • বাংলা নাট্যসাহিত্যে প্রহসনে অমৃতলালের জুড়ি কেউ আছেন বলে জানি না।
  • ১৩৩৪ সালের শেষের দিকে মিনার্ভা থিয়েটারে যখন অমৃতলালের শেষ নাটক “যাজ্ঞসেনী” খোলবার আয়োজন হয়, তখন তার মহলায় আমি নিয়মিতরূপে হাজির থাকতুম। সেই সময়েই তাঁর মহলা দেবার পূর্ণশক্তি আমি বিশেষভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলুম। কি পুরুষ-ভূমিকা, কি নারী-ভূমিকা, কি কবিতায়, কি গদ্যে সংলাপ, কি অঙ্গবিন্যাস, কি ভাবাভিব্যক্তি,—প্রত্যেক দিকেই থাকত তাঁর তীক্ষ্ণদৃষ্টি এবং প্রত্যেক বিষয়টি তিনি তাঁর নিজের দেহের ও কণ্ঠস্বরের সাহায্যে বিশদ করে তুলতে পারতেন— এমন কি আলোকপাত, দৃশ্যপট ও অঙ্গ সংস্কার বা দেহ-সজ্জা পর্যন্ত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরখ না করে ছাড়তেন না।
  • অমৃতলাল ছিলেন অত্যন্ত সামাজিক মানুষ। গত যুগের প্রায় প্রত্যেক অভিনেতাই—এমন কি গিরিশচন্দ্র ও অর্ধেন্দুশেখর পর্যন্ত— সত্যকার সামাজিক অনুষ্ঠানকে সাধ্যমত পরিহার করেই চলতেন। কিন্তু অমৃতলালকে দেখেছি আমরা বহু সভা-সমিতিতে এবং সাহিত্যিক ও শিল্পীদের বৈঠকে। যে কোন সভা তাঁর উপস্থিতিতে সমুজ্জ্বল হয়ে উঠত, কারণ রসালো ভাষায় বক্তৃতা দেবার ক্ষমতা ছিল তাঁর অসামান্য। ছোট-বড় বৈঠকেও তাঁর মুখ, দিয়ে নির্গত হত যে বাক্য-স্রোত, তা রসের স্রোত বললেও অত্যুক্তি হবে না। তিনি একাধারে ছিলেন সুরসিক ও সুপণ্ডিত। তাই তাঁর লঘু কৌতুক-ভাষণের মধ্যেও লাভ করা যেত যথেষ্ট চিন্তার খোরাক।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

 
উইকিসংকলন
উইকিসংকলনে এই লেখক রচিত অথবা লেখক সম্পর্কিত রচনা রয়েছে: