ইসলামভীতি

ইসলাম ধর্ম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভয়,ঘৃণা বা কুসংস্কার

ইসলামভীতি, যাকে ইসলামোফোবিয়া, ইসলামবিদ্বেষ বা মুসলিম-বিরোধী মনোভাবও বলা হয়, হলো ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি ভয়, ঘৃণা, পক্ষপাত বা বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব। ইসলামভীতির প্রকাশ ঘটে মুসলিমদের প্রতি কুসংস্কার, ভুল ধারণা, স্টেরিওটাইপ, বৈষম্য, এবং সহিংসতার মাধ্যমে। মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদী, অসভ্য, নারী-বিদ্বেষী ভেবে ভুল ধারণা পোষণ করা, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, গৃহায়ন, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা এবং মুসলিম ব্যক্তি ও সম্পত্তির উপর আক্রমণ, ধ্বংসযজ্ঞ এবং হত্যাকাণ্ড ইসলামভীতির বহিঃপ্রকাশ।

  • ইসলামের নীতিগুলি প্রায়শই বিকৃতভাবে এবং প্রেক্ষাপটের বাইরে নিয়ে বর্ণনা করা হয়; বিশেষত ইসলামের মতো সমৃদ্ধ ও জটিল বিশ্বাসকে তুলে ধরা হয় প্রায়শই কেবল অল্পকিছু কাজ বা চর্চার মাধ্যমে। কেউ কেউ বলেন যে ইসলাম গণতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক এবং ইসলাম আধুনিকতানারী অধিকারের প্রতিকূল। আর অনেক স্থানে মুসলিমদের প্রতি মর্যাদাহানিকর বক্তব্য কোনো সমালোচনা ছাড়াই ছড়ানো হয়।
  • ইসলামভীতি এই দেশে এতটাই মূলধারায় পরিণত হয়েছে যে মার্কিনীরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা আশা করার জন্য প্রশিক্ষিত হয়েছে। আর এটা ঘটেছে কারণ এই দেশে আপনাদের এমন একটা শিল্প গড়ে উঠেছে যার কাজ মার্কিনীদের এটা বোঝানে যে ঘরের ভেতরেই শত্রু আছে।
    • রেজা আসলান, "If the Sikh Temple Had Been a Mosque" (যদি শিখ মন্দিরটি কোনো মসজিদ হতো), নিউ ইয়র্ক টাইমস, ১০ আগস্ট ২০১২।
  • মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য, মুসলিম মার্কিনীদের বন্ধু ও পরিবারকে বাধা প্রদান এবং মুসলিম ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের আমাদের দেশে বাধা দেওয়া অর্থ বিশাল পরিমাণ মুসলিম যারা স্বাধীনতা ভালোবাসে ও সন্ত্রাসকে ঘৃণা করে তাদের আঘাত করা। আর স্রেফ তাদের ধর্মের কারণে আমাদের সাথী এই মার্কিনীদের উপরে নজরদারী করতে হবে এটা বলার অর্থও একই।
  • ৯/১১-এর পরে থেকে ইসলামভীতি বেড়েছে এবং এটি উদ্বেগজনক। এতে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে। হিজাব পরিহিত মুসলিম নারীগণ সমস্যায় পরিণত হয়েছেন। এটাকে (হিজাবকে) অস্ত্র মনে করা হয়। একজন মহিলা কোনো দেশে কাপড় খুলতে পারবে অথচ অতিরিক্ত কাপড় পড়তে পারবে না? আর এটা কেন ঘটেছে? কারণ কিছু পশ্চিমা নেতাগণ ইসলাম ও সন্ত্রাসকে সমতুল্য মনে করেন।
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনও এক ধরণের বর্ণবাদ বিদ্যমান যাকে ইসলামভীতি বলা যেতে পারে। মুসলমানদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু হিসাবে চিত্রিত করারও চেষ্টা করা হয়েছে।
    • ফেইসাল আব্দুল রাউফ, "Q&A with Imam Feisal Abdul Rauf" (ফেইসাল আব্দুল রাউফের সাথে প্রশ্ন-উত্তর), ড্যানিয়েল বার্কের সাথে সাক্ষাৎকার, ওয়াশিংটন পোস্ট, ২৯ আগস্ট ২০১২।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা