এরিস্টটল

গ্রিক দার্শনিক ও বিজ্ঞানী

এরিস্টটল (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৮৪ – খ্রিষ্টপূর্ব ৩২২) বিশ্ববিখ্যাত গ্রিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিক। তাঁকে প্রাণিবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। এছাড়া প্লেটোর সাথে যৌথভাবে তাঁকে "পাশ্চাত্য দর্শনের জনক" বলে অভিহিত করা হয়। এরিস্টটল সক্রেটিস ও প্লেটোর দর্শনসহ তাঁর পূর্বের সময়ের বিদ্যমান বিভিন্ন দর্শনের জটিল ও সদৃশ সমন্বয় দেখান। তাঁর লেখনীতে পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, অধিবিদ্যা, যুক্তিবিদ্যা, নীতিশাস্ত্র, নন্দনতত্ত্ব, কবিতা, মঞ্চনাটক, সঙ্গীত, মনোবিজ্ঞান, ভাষাবিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাজনীতি ও সরকার নিয়ে আলোচনা রয়েছে, যেগুলো নিয়ে পাশ্চাত্য দর্শনের প্রথম বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যবস্থা গঠিত। মেসিডোনের দ্বিতীয় ফিলিপের অনুরোধে খ্রিস্টপূর্ব ৩৪৩ অব্দ থেকে মহান আলেকজান্ডার কে শিক্ষাদান শুরু করেন। আলেকজান্ডারকে শিক্ষাদান করতে গিয়ে এরিস্টটল অনেক সুবিধা লাভ করেন। তিনি লাইসিয়ামে একটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্যাপিরাস স্ক্রলে অনেকগুলো বই রচনা করেন।

এরিস্টটল
  • একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সার্বভৌম ক্ষমতা সমগ্র জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে।
  • দার্শনিক হিসেবে আমার অর্জন এই যে, যা আমি নিজে নিজে করি, অন্যরা তা করে আইনের ভয়ে।
  • কারও কারও মতে স্বাধীনতা এবং সাম্যতা যদি প্রধানত গণতন্ত্রে পাওয়া যায়, তবে সমস্ত ব্যক্তি যখন সর্বোচ্চভাবে সরকারে অংশ নেবে, তখনই তারা সর্বোত্তমভাবে অর্জন করবে।
  • শান্তিতে বসবাস করার জন্যেই আমরা যুদ্ধে লিপ্ত হই।
  • রাজনীতিবিদদেরও অবসর নেই, কারণ তারা সর্বদা রাজনৈতিক জীবন, শক্তি এব গৌরব বা সুখের বাইরেও কিছু লক্ষ্য রাখে।
  • যে ব্যক্তি সমাজের অন্তর্ভুক্ত নয় সে হয় ফেরেস্থা, নয় পশু।
  • মানুষ, যদি সে খাঁটি হয়, প্রাণীকুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। কিন্তু আইন ও ন্যায়বিচার থেকে বিচ্ছিন্ন হলে সে হয় প্রাণীকুলের মধ্যে নিকৃষ্টতম, কারণ সশস্ত্র অন্যায় সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক।
  • শিক্ষার শেকড়ের স্বাদ তেঁতো হলেও এর ফল মিষ্টি।
  • সমস্ত জ্ঞানের সূত্রপাত হয় নিজেকে জানা থেকেই।
  • অনুমান বা ধারনা থেকেই সত্যের উৎপত্তি।
  • লোকেরা যা মনে করে তার চেয়ে উচ্চ মনের মানুষটিকে সত্যের জন্য আরও বেশি যত্নবান হতে হবে।”
  • হৃদয়কে শিক্ষিত না করে মনকে শিক্ষিত করা মোটেই শিক্ষা নয়।
  • জ্ঞানীরা ধনসঞ্চয় করেন অর্থপিশাচদের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য।
  • জ্ঞানী লোক কখনও সুখের সন্ধান করে না।
  • প্রতিটি মানুষ কথা বলে এবং অভিনয় করে এবং তার চরিত্র অনুযায়ী জীবনযাপন করে।
  • প্রথমত, একটি সুনির্দিষ্ট, সুস্পষ্ট ব্যবহারিক আদর্শ থাকতে হবে; একটি লক্ষ্য, একটি উদ্দেশ্য। দ্বিতীয়ত, আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় উপায় রয়েছে; জ্ঞান, অর্থ, উপকরণ এবং পদ্ধতি। তৃতীয়ত, আপনার সমস্ত উপায় সেই প্রান্তে সমন্বয় করুন।
  • প্রকৃতির দ্বারা সমস্ত পুরুষ জ্ঞান কামনা করে।
  • মানুষ স্বভাবতই একটি 'রাজনৈতিক প্রাণী'।
  • আমাদের চরিত্র হচ্ছে আমাদের আচার ব্যাবহারের ফলশ্রুতি।
  • আমি তাকে অধিক সাহসী মনে করি, শত্রুকে জয় করার চাইতে যে নিজের কামনা বাসনাকে অতিক্রম করতে পেরেছে।
  • আশা হচ্ছে জেগে স্বপ্ন দেখার মত।
  • অনুমান বা ধারণা থেকেই জ্ঞানের উৎপত্তি।
  • অযোগ্য শাসন কর্তার মত দেশ ও জাতির বড় ক্ষতি কেও করতে পারে না।
  • আইন হচ্ছে আদেশের একটা মার্জিত কাঠামো, আর উৎকৃষ্ট আইনের অর্থই হচ্ছে উৎকৃষ্ট আদেশ।
  • আমি তাকেই সাহসী বলব, যে তার আকাঙ্ক্ষাকে চরিতার্থ করতে, এবং শত্রুকে বশ করতে পেরেছে।
  • সেই সেরা বন্ধু, যে আমার জন্যই ভাবে, শুভকামনা করে।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা