কক্সবাজার
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত শহর ও পর্যটন কেন্দ্র
কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর, মৎস্য বন্দর এবং পর্যটন কেন্দ্র। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার সদর দপ্তর। কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত, যা ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এবং সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। একসময় কক্সবাজার প্যানোয়া নামেও পরিচিত ছিল যার আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে হলুদ ফুল। এর আরও একটি প্রাচীন নাম হচ্ছে পালঙ্কি।
উক্তি
সম্পাদনা- The mass human exodus that began last autumn from Myanmar to Bangladesh has turned Cox’s Bazar into the world’s largest refugee settlement.
- অনুবাদ: মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে গত শরতে শুরু হওয়া গণমানুষের অভিবাসন কক্সবাজারকে পরিণত করেছে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী বসতিতে।
- ২৪ আগস্ট ২০১৮-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে ক্রিস্টিন কোলস্টাড, উদ্ধৃত: নরওয়েজীয় শরনার্থী পরিষদ
- অনুবাদ: মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে গত শরতে শুরু হওয়া গণমানুষের অভিবাসন কক্সবাজারকে পরিণত করেছে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী বসতিতে।
- সন্ধ্যার পর কক্সবাজার শহরে পর্যটকদের করার কিছু থাকে না। পুরো শহর ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়। তখন শহরের নিরাপত্তাও থাকে না, বিচেরও নিরাপত্তা থাকে না।
- ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ ওবায়দুল কাদের, উদ্ধৃত: বাংলানিউজ২৪.কম
- দুঃখের বিষয় কোনো পর্যটক যদি সেখানে যায় তাহলে তারা কি দেখবে। তারা কক্সবাজারে প্রবেশের পরপরই কলাতলী চত্বরে দেখতে পাবে একটি ভাস্কর্য। যে ভাস্কর্যে কিছু সামুদ্রিক মাছের সাথে আছে একটা হাঙ্গরের ভাস্কর্য। যারা জ্যান্ত মানুষ পানিতে পেলে খেয়ে ফেলে।
- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ ফেসবুকে আশরাফুল আলম খোকন, উদ্ধৃত: কালের কণ্ঠ
- কক্সবাজারের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আলাদা আকর্ষণ ছিল। প্রতি শীত মৌসুমে আমাদের নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে যেতেন। উখিয়াতে জঙ্গলের পথ বেয়ে বেড়াতে যেতাম। বাঘ-হাতির ডাক শুনতাম। যদিও এখন সেই চিহ্ন নেই।
- ২৯ আগস্ট ২০২১-এ একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা, উদ্ধৃত: কালের কণ্ঠ
- কক্সবাজারকে বলা যায় পর্যটন শহর বা রাজধানী। পাহাড় ও সমুদ্রবেষ্টিত এ শহর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এ মনোরম পরিবেশ নিজের সৌন্দর্যের বিকিরণ সম্ভবত তার লেখক কবিদের নিয়ে ঘটায়। তাই কক্সবাজারে কবির সংখ্যা যত বেশি অন্যান্য ক্ষেত্রে তত তৎপরতা নেই। তবে কক্সবাজারের পুরোনো দিনের আঞ্চলিক ভাষায় অনেক বচন বা লোককাহিনি ফেরে মানুষের মুখে মুখে। এসব কাহিনি কেচ্ছা হিসাবে প্রচলিত।
- ৫ নভেম্বর ২০২১-এ প্রকাশিত কলামে সাইয়্যিদ মঞ্জু, উদ্ধৃত: যুগান্তর
- কক্সবাজারের প্রশাসনিক ইতিহাস ও নাম-মহাত্ম পণ্ডিতি ভাষায় অতি-সাম্প্রতিক। জেলা হিসেবে এর অস্তিত্ব মাত্র তিন যুগ আগের। কিন্তু দুইশ বছর আগেও কক্সবাজার নামক কোন শব্দ বা বাক্যের অস্তিত্ব বিশ্বমানচিত্রে ছিল না। তবে ভিন্ন নামে তার ভূ-রাজনৈতিক ইতিহাস সুপ্রাচীন।
- কালাম আজাদ (১৫ জুন, ২০২২), কক্সবাজারের ইতিহাসের অনুসন্ধানে (প্রথম পর্ব), ইতিহাস তথ্য ও তর্ক
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিমিডিয়া কমন্সে কক্সবাজার সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
উইকিপিডিয়ায় কক্সবাজার সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিভ্রমণে কক্সবাজার সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে।