গাড়ি

এক থেকে আটজন যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত চার চাকাযুক্ত মোটরযান

গাড়ি, মোটর গাড়ি বা অটোমোবাইল হচ্ছে চাকাযুক্ত এক প্রকার মোটরযান, যা যাত্রী পরিবহণে ব্যবহৃত হয়। এটি যাত্রী পরিবহনের সাথে সাথে নিজের ইঞ্জিনও পরিবহন করে। গাড়ি সংজ্ঞার্থে ব্যবহৃত বেশিরভাগ যান রাস্তায় চলার জন্য তৈরি করা হয়, সাধারণত এক থেকে আট জন মানুষ বহন করতে পারে ও চাকার পরিমাণ থাকে চার অথবা দুই। এটি মালপত্র পরিবহনের তুলনায় মূলত মানুষ বা যাত্রী পরিবহনের জন্যই তৈরি করা হয়।

আমার বেশ মনে আছে, ছেলেবেলায় রাস্তায় কেউ সাইকেল চড়ে গেলে, আমরা ছুটোছুটি করে দেখতে যেতাম, আর মনে করতাম ভারি একটা অদ্ভুত জিনিস দেখছি। এখন কলকাতার রাস্তা দিয়ে সাইকেল, মোটরসাইকেল, নানারকম মোটর গাড়ি, ইলেকট্রিক ট্রামএই-সব কত যে যাচ্ছে তার ঠিকানাই নাই। - সুকুমার রায়
  • আমার বেশ মনে আছে, ছেলেবেলায় রাস্তায় কেউ সাইকেল চড়ে গেলে, আমরা ছুটোছুটি করে দেখতে যেতাম, আর মনে করতাম ভারি একটা অদ্ভুত জিনিস দেখছি। এখন কলকাতার রাস্তা দিয়ে সাইকেল, মোটরসাইকেল, নানারকম মোটর গাড়ি, ইলেকট্রিক ট্রামএই-সব কত যে যাচ্ছে তার ঠিকানাই নাই। এই-সব দেখে দেখে এখন পুরানো হয়ে গিয়েছে; এমন-কি, মাথার উপর দিয়ে এরোপ্লেন উড়ে গেলেও লোকে আর তেমন ব্যস্ত হয়ে ফিরে তাকায় না।
    • সুকুমার রায় - সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড), আদ্যিকালের গাড়ি ১৯৬০ (পৃ. ২৭৯-২৮১)।
  • ‘ঠিকে গাড়ি’ বলতে যদি আজকালকার গাড়ির মতো কিছু একটা বুঝে নাও, তা হলে নিতান্তই ভুল বুঝবে! কত অদ্ভুতরকমের গাড়ি যে সে সময় দেখা যেত তা চোখে না দেখলে বর্ণনা করে বোঝানো শক্ত। গাড়ির ভিতরে, বাইরে, ছাত এবং পিছনে যত লোক ঠাসা যায় এক-একটা গাড়িতে তত লোক চড়ত। গাড়িতে চড়বার জন্য রীতিমত মই লাগাতে হত। গাড়িতে স্প্রিং-ট্রিং কিছুই থাকত না, খালি একটা কাঠের ফ্রেমের উপর কয়েকটা কাঠের খোপ বসিয়ে পেরেক আর চামড়া দিয়ে এঁটে দেওয়া হত।
    • সুকুমার রায় - সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড), আদ্যিকালের গাড়ি ১৯৬০ (পৃ. ২৭৯-২৮১)।
  • গিজার গাড়ি যতটা সম্ভব বড় হওয়া উচিত। যদি একটি ফাইটার জেট এটিতে অবতরণ করতে না পারে তবে আপনি এটি চালাতে চাইবেন না। প্রয়োজনে, আপনার দুটি গাড়ি নেওয়া উচিত এবং সেগুলিকে একসাথে একটিতে ঢালাই করা উচিত। আপনার স্টিয়ারিং হুইলটিকে যথেষ্ট শক্তভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে যাতে অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া ছাড়াই আপনাকে এটি থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না এবং আপনার সিটে বসে থাকা উচিত যাতে আপনি স্পিডোমিটারের দিকে সরাসরি তাকান।
    • ডেভ ব্যারি, ডেভ ব্যারি টার্নস ফর্টি (১৯৯০)। নিউ ইয়র্ক: ক্রাউন পাবলিশার্স, পি. ১৭৭-১৭৮।
  • সকাল বিকাল ইস্‌টেশনে আসি,
    চেয়ে চেয়ে দেখতে ভালোবাসি।
    ব্যস্ত হয়ে ওরা টিকিট কেনে;
    ভাঁটির ট্রেনে কেউ বা চড়ে, কেউ বা উজান ট্রেনে।
    সকাল থেকে কেউ বা থাকে বসে,
    কেউ বা গাড়ি ফেল করে তার শেষ মিনিটের দোষে।—
  • আমি জন্ম নিয়েছিলুম সেকেলে কলকাতায়। শহরে শ্যাক্‌রাগাড়ি ছুটছে তখন ছড়্‌ছড়্ করে ধুলো উড়িয়ে, দড়ির চাবুক পড়ছে হাড়-বের-করা ঘোড়ার পিঠে। না ছিল ট্রাম, না ছিল বাস, না ছিল মোটরগাড়ি। তখন কাজের এত বেশি হাঁস্‌ফাসানি ছিল না, রয়ে বসে দিন চলত। বাবুরা আপিসে যেতেন কষে তামাক টেনে নিয়ে পান চিবোতে চিবোতে, কেউবা পাল্কি চ’ড়ে কেউবা ভাগের গাড়িতে।
  • গাড়ি তৈয়ারি করিবার আগেই বোধ হয় মানুষ নৌকা তৈয়ারি করিতে শিখিয়াছিল। এখনো অনেক অসভ্য জাত দেখা যায়, তাহারা গাড়ি ঘোড়ার ব্যবহার জানে না কিন্তু নৌকা বানাইতে জানে। তাহার কারণ, ডাঙায় মানুষ যেমন ইচ্ছা হাঁটিয়া যাইতে পারে, গাড়ি চড়িবার দরকার সে বোধ করে না, সে কথাটা তাহার মাথায়ও আসে না।
    • সুকুমার রায় - সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড), নৌকা ১৯৬০ (পৃ. ২৩৮-২৪০)।
  • জালে ঢাকা গাড়ি চড়ে বীরত্ব কি যে এর
    বুঝবে কে, হরদম সামলায় নিজেদের।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা